ভিনেশকে দেখে শিক্ষা! কীভাবে ওজন কমালেন আমন? জানুন বিস্তারিত

প্যারিস অলিম্পিকে কুস্তিগীরদের ওজন ধরে রাখাই আপাতত সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার পুরুষদের ৫৭ কেজি ফ্রি-স্টাইল ক্যাটেগরিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দৌলতে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন…

Aman Sehrawat

প্যারিস অলিম্পিকে কুস্তিগীরদের ওজন ধরে রাখাই আপাতত সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুক্রবার পুরুষদের ৫৭ কেজি ফ্রি-স্টাইল ক্যাটেগরিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দৌলতে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন ভারতের আমন সেহরাওয়াত (Aman Sehrawat Bronze)। তবে এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁকে সারারাত নিজের ওজন কমাতে হয়েছিল। ভিনেশ ফোগাটের মতোই ভারতের এই পুরুষ কুস্তিগীরের ওজনও বেড়ে গিয়েছিল।

‘সিদ্ধান্ত বদলের সময় এসেছে…’, ভিনেশ ইস্যুতে সরব সচিন

একটি সংবাদসংস্থা মারফৎ জানা গিয়েছে, চলতি অলিম্পিক টুর্নামেন্টে সেমি ফাইনাল ম্য়াচের পর আমনের ৪.৬ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল। এই ওজন কমানোর জন্য আমন ১০ ঘণ্টা কঠোর অনুশীলন করেন। ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচের আগে সারা রাত ঘুমোননি তিনি। ওজন কমাতেই ব্যস্ত ছিলেন। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, ফাইনাল ম্যাচের আগে নির্ধারিত ওজনের থেকে মাত্র ১০০ গ্রাম বেশি হওয়ার জন্য ভিনেশ ফোগাটকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

   

জানা গিয়েছে, সেমিফাইনাল ম্য়াচের পর আমনের কাছে খুব একটা বেশি সময় ছিল না। প্রথমে তিনি নিজের ওজন কমানোর জন্য দেড় ঘণ্টা ম্যাট সেশন করেন। এরপর তিনি একঘণ্টা হট বাথ সেশন নেন। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ জিমে যান তিনি। সেখানে ট্রেডমিলে এক ঘণ্টা ধরে তিনি দৌড় লাগান। এরফলে ঘাম ঝরিয়ে নিজের ওজন কমান তিনি। এরপর ছিল ৩০ মিনিটের বিরতি। এরপর সওনা বাথের পাঁচ মিনিট করে পাঁচটি সেশন হয়।

শেষ সেশনের পরেও আমনের শারীরিক ওজন ৯০০ গ্রাম বেশি ছিল। এরপর তাঁকে মাসাজ দেওয়া হয়। খানিকক্ষণ তাঁকে জগিং করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ তাঁর ওজন ৫৬.৯ কিলোগ্রামে এসে দাঁড়ায়। এটা তাঁর ক্যাটেগরি থেকে ১০০ গ্রাম কমই ছিল। ওজন কম হওয়ার পর অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস নেন আমন।

ভারতের জাতীয় কুস্তি দলের কোচ বীরেন্দ্র দাহিয়া এই বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমনের ওজন ৪.৬ কেজি বেড়ে গিয়েছিল। দাহিয়া বললেন, ‘আমরা গোটা রাত কুস্তি ম্য়াচের ভিডিয়ো দেখেছি। প্রত্যেক ঘণ্টায় আমরা ওজন মেপেছি। দিনে-রাতে ঘুমোইনি। ওজন কমানো আমাদের কাছে এমন কোনও বড় কাজ নয়। কিন্তু, ইতিপূর্বে যে ঘটনার সাক্ষী আমরা থেকেছি, তা অবশ্যই চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল। আরও একটা পদক আমরা হাতছাড়া করতে চাইনি।’