শেষ কয়েকটি মরসুম থেকেই ছন্দে নেই হায়দরাবাদ এফসি (Hyderabad FC)। প্রথম থেকেই পরাজিত হতে হয়েছিল একের পর এক ম্যাচ। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সমর্থকদের। তবে দল যে শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে সেই নিয়ে আশাবাদী সকলে। সেজন্য গতবারের মতো এবারও ভারতীয় কোচ থাংবোই সিংটোর উপরেই ভরসা রেখেছিল হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট। উল্লেখ্য, গত সিজনে ও সীমিত শক্তি নিয়েই লড়াই করেছিল এই ফুটবল ক্লাব। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকতে হলেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স মন জয় করেছিল সকলের। তবে নয়া আইএসএল মরসুমের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা কার্যকরী হয়নি।
প্রায় চারটি ম্যাচের পর ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয় আসলেও সেটা বজায় থাকেনি। সেই জয়ের পর টানা সাতটি ম্যাচে পরাজিত হতে হয় আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাবকে। দলের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সে কার্যত বিরক্ত ছিল হায়দরাবাদ ম্যানেজমেন্ট।স্বাভাবিকভাবেই কোচ বদলের দাবি উঠতে শুরু করেছিল সমর্থকদের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত গত নভেম্বরের শেষের দিকে নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে থাংবোই সিংটোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দেয় হায়দরাবাদ এফসি।
Also Read | ছেলেদের খেলায় খুশি পেট্র ক্র্যাটকি, এবার প্রতিপক্ষ কে?
বলাবাহুল্য, শেষ ফুটবল মরসুম থেকেই নিজামের শহরের এই দলের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সিংটো। চূড়ান্ত সাফল্য না পেলেও সীমিত শক্তি নিয়ে তাঁদের লড়াই প্রশংসা কুড়িয়েছিল সকলের। এবার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে শেষ মুহূর্তে আইএসএল খেলতে আসে হায়দরাবাদ। প্রাক মরসুম প্রস্তুতি সময় না পেলেও ম্যাচ যত এগিয়েছে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে একাধিক বিদেশি।কিন্তু তাতেও বদলায়নি পরিস্থিতি। এমন পরিস্থিতিতেই অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দলের দায়িত্ব পান শামিল চেম্বাকাথ। বলাবাহুল্য, তাঁর দায়িত্ব গ্ৰহনের পর থেকেই যথেষ্ট আক্রমনাত্মক মেজাজে খেলতে দেখা যায় স্টেফান সাপিচ থেকে শুরু করে মনোজ মহম্মদের মতো ফুটবলারদের।
আজ সন্ধ্যায় আইএসএলের শেষ ম্যাচ খেলতে নামছে নিজামের শহরের এই ফুটবল ক্লাব। সুপার সিক্সের আশা অনেক আগে শেষ হয়ে গেলে ও জয় দিয়েই অভিযান শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে সকলের। তাঁর আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সামিল চেম্বাকাথের প্রসঙ্গে অ্যালেক্স সাজি বলেন, ” কোচ শামিল আমাকে খুব ভালো করে চেনেন এবং সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। তিনি জানেন, আমার শক্তি এবং দুর্বলতার মতো বিষয়গুলো। আমি যখনই ভুল করি তখন তিনি আমাকে শুধরে নিতে সাহায্য করেন। আমি আমার কর্মজীবনে তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।”