মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে এবার জয় পেল আল হিলাল, কার্ড দেখলেন মেহতাব

বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আজ মুম্বাইয়ের দিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে মুম্বাই সিটি এফসির মুখোমুখি হয়েছিল সৌদির অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব…

Al Hilal Mumbai City FC

বহু প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আজ মুম্বাইয়ের দিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে মুম্বাই সিটি এফসির মুখোমুখি হয়েছিল সৌদির অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব আল হিলাল। নির্ধারিত সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচ জিতে নিল আল হিলাল ফুটবল দল। তাদের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে মাইকেল ও মিত্রোভিচ।

বলা যায় এই দুই দাপুটে ফুটবলারের উপস্থিতিতেই আজ নিজেদের ঘরের মাঠে দিশেহারা হয়ে পড়ে গোটা মুম্বাই দল। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করলেও শেষ পর্যন্ত লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় মুম্বাই সিটির তারকা ফুটবলার তথা ভারতীয় দলের অন্যতম ভরসাযোগ্য ডিফেন্ডার মেহতাব সিংকে। যারফলে, ম্যাচের শেষের দিকে কার্যত এলোমেলো হয়ে পড়ে মুম্বাই ডিফেন্স। সেখান থেকেই গোল করে দলকে এগিয়ে নেন আল হিলালের দাপুটে ফুটবলার। তারপর আসে দ্বিতীয় গোল।

উল্লেখ্য, আজ ম্যাচের শুরু থেকেই টানটান উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল সকলের মধ্যে। আসলে, আল হিলালের মতো হেভিওয়েট প্রতিপক্ষের ভারতে খেলতে আসা অনেক আগে থেকেই বাড়তি উন্মাদনার সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে যেই ক্লাবে রয়েছেন নেইমার জুনিয়রের মতো ফুটবলার। তা যে এক আলাদা মাত্রা পাবে সেকথা জানা ছিল সকলের। তবে ম্যাচের শুরু থেকেই যথেষ্ট সাবধানী থাকতে দেখা গিয়েছে দুই দলকে। তবে ধীরে ধীরে মাঝমাঠ থেকে আক্রমন শানিয়ে প্রতিপক্ষের রক্ষনভাগে উঠে আসার চেষ্টা করতে থাকে মুম্বাই সিটি।

তবে তা কার্যকরী হয়নি। বরং ডিফেন্ডারদের সক্রিয়তায় বল চলে যায় মাঠের বাইরে। অপরদিকে, সুযোগ বুঝে চাপ বাড়াতে থাকে আল হিলাল। এসবের মাঝেই প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ড লাইনে আটকাতে গিয়ে হিমসিম খেতে দেখা যায় মুম্বাই দলের ডিফেন্ডারদের। বিশেষ করে সার্বিয়ান তারকা মিত্রোভিচের সঙ্গে মেহতাব সিংয়ের লড়াই যথেষ্ট নজর কাড়ে সকলের। পরবর্তীতে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

তারপরেই যথেষ্ট চাপে পড়ে যায় আইএসএলের এই লিগ শিল্ড জয়ী দল। তবে দশজনে থেকেও লড়াই চালাতে ভোলেনি বাকিংহ্যামের ছেলেরা তবে সুযোগ বুঝে দলের হয়ে প্রথম গোল তুলে নিয়ে যান মাইকেল। মুম্বাই রক্ষনভাগের তরফ থেকে ব্যাপক চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। তবে এরপর থেকে যথেষ্ট সাবধানতার সঙ্গে পাল্টা আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে গিয়ে ও বাঁধা পেতে হয় তাদের। অন্যদিকে, তখন পুরোদমে আক্রমন শানাচ্ছে আল হিলাল।

তবে মুম্বাই দলের গোলরক্ষক ফূর্বা লাচেনপার দৌলতে অনেকটাই সামাল দেওয়া যায় পরিস্থিতি। তবে খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে মুম্বাইয়ের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন মিত্রোভিচ। তার কিছু সময় আগে নাসের একটি দূরপাল্লার শট নিলেও ভাগ্যের জোড়ে বেঁচে যায় রাহুল ভেকেরা। বারে গিয়ে লাগে সেই শট। নাহলে বাড়তে পারত ব্যবধান।