পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী চলতি মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে এবারের সুপার কাপ। প্রথমদিকে যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ আয়োজিত হওয়ার পর শুরু হয় মূল পর্বের খেলা। ইতিমধ্যেই যেখানে দুটা করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে বেঙ্গালুরু, কেরালা,ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগানের মতো দলগুলি।
গতকালই জামশেদপুরের কাছে পরাজয় স্বীকার করে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। পাশাপাশি কলকাতার আরেক প্রধানের অবস্থা ও প্রায় শোচনীয়। তবে এসবের মাঝেই কেরালায় সুপার কাপ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। আই লিগের পাশাপাশি আইএসএলের হেভিওয়েট দল গুলি ও টুর্নামেন্টের বেহাল ব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে একাধিকবার।
জানা গিয়েছে, এবারের এই কাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি দলকেই নাকি অনুশীলনের জন্য দেওয়া হয়েছে একটি মাত্র মাঠ। যারফলে সময় বদল করে করে অনুশীলন চালাতে হচ্ছে দলগুলিকে। পাশাপাশি দলের খেলোয়াড়দের রাখা নিয়ে ও তৈরি হয়েছে একাধিক সমস্যা। উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় হেভিওয়েট দলের ফুটবলারদের ও থাকতে হচ্ছে আলাদা আলাদা হোটেলে। সেইসাথে মাঠের আলোর সমস্যা তো নিত্যদিনের সঙ্গী। সেজন্য অনুষ্ঠান বাড়ির লাইট ভাড়া করে অনুশীলন চালাতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি গোয়া ও জামশেদপুরের মতো দল গুলিকে। তার সাথে আবার রয়েছে যাতায়াতের দূরত্ব। যা নিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রত্যেকটি দলকে।
এই সমস্ত বিষয় নিয়েই আজ মুখ খোলেন এআইএফএফ সভাপতি কল্যান চৌবে। তিনি বলেন, সব দিক খতিয়ে দেখেই এক্সিকিউটিভ কমিটির পাশাপাশি এফএসডিএল কে ও আমাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। যে এরকম গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে চরম অব্যবস্থা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই আগামী বছর থেকে যতটা সম্ভব পরিকল্পনা মাফিক করা যায়। পাশাপাশি ভারতের তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই এপ্রিল-মে মাসে ভারতে ফুটবল খেলা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমাদের মাথায় রাখতে হবে, যাতে আগামী বছর থেকে এই সময়ে কোনও ফুটবল টুর্নামেন্ট না করা হয়। হলেও যাতে তা প্রখর রোদের মধ্যে না করা হয়, সেদিকে ও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। সেইসাথে টুর্নামেন্টের প্রত্যেকটি দল যাতে আগামী বছর থেকে সাধারণ সুবিধা গুলো পেতে পারে সেই দিকে ও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।