AIFF: ফেডারেশনের সভাপতির চেয়ারে বাইচুংকে চাইছেন প্রাক্তনরা

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে (AIFF) নির্বাচন ২৮ অগস্ট। সভাপতির চেয়ারে ভাইচুং ভুটিয়াকে দেখতে চাইছেন ৩৬ ভোটাধিকার পাওয়া প্রাক্তন ফুটবলারদের অধিকাংশ। নতুন সংবিধান অনুযায়ী…

Bhaichung Bhutia

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে (AIFF) নির্বাচন ২৮ অগস্ট। সভাপতির চেয়ারে ভাইচুং ভুটিয়াকে দেখতে চাইছেন ৩৬ ভোটাধিকার পাওয়া প্রাক্তন ফুটবলারদের অধিকাংশ। নতুন সংবিধান অনুযায়ী এআইএফএফের কর্মসমিতিতে ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কেউ সভাপতি পদে লড়তে পারেন।

ফলে ভাইচুংয়ের ক্ষেত্রেও কোনও সমস্যা নেই। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রুনো কুটিনহোর কথায়, “ভাইচুংয়ের মতো কোনও ফুটবলার এআইএফএফের সভাপতি হলে দেশের ফুটবলাররা ভীষণভাবে উপকৃত হবে বলে আমার মনে হয়। তবে ও নির্বাচনে লড়তে চায় কি না সেটা বড় ব্যাপার।” ভাইচুংয়ের আর এক প্রাক্তন সতীর্থ রেনেডি সিংহও চাইছেন ভাইচুং নির্বাচনে সভাপতির পদে লড়াই করুক। রেনেডির বক্তব্য, “এত জন প্রাক্তন ফুটবলারকে কমিটিতে থাকতে দেওয়া নিঃসন্দেহে ভাল সিদ্ধান্ত। আশা করি প্রাক্তন ফুটবলাররা বাইচুংকে সমর্থন করবে।”

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাসিত করার হুমকি দিয়েছিল ফিফা ও এএফসি। অনূর্ধ-১৭ মেয়েদের বিশ্বকাপও ভারত থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই হুমকি চিঠির জবাব দিয়েছে বর্তমানে ফেডারেশনের মাথায় থাকা আদালত নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)। ফিফাকে পাঠানো চিঠিতে সিওএ আরও জানিয়েছে, সঠিক নির্দেশ মেনেই এআইএফএফ এগিয়ে যাচ্ছে। কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশে ফিফাকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করছেন। তাতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই আশ্বস্ত করা হয়েছে সিওএ-র তরফে।

রবিবার পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে প্রশাসকদের কমিটির (সিওএ) তরফে আশ্বাস দেওয়া হল ফিফা এবং এএফসি-কে। জানানো হল, এআইএফএফ সঠিক পথেই চলছে। একই সঙ্গে চিঠিতে তুলোধনা করা হল প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল্ল পটেলকে। সিওএ-র দাবি, ১৬ বছর বিনা প্রশ্নে যিনি ক্ষমতায় থেকেছেন, তাঁর মুখে সংস্থা বিরোধী এ ধরনের কথা মানায় না।