২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর (Afghanistan)। আর তারপর ২০২৪ সালের ২৩ জুন। প্রথমটা ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আর পরেরটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুদিনই অঘটনের সাক্ষী থাকল বিশ্ব। ২০২৩ সালে ১৫ অক্টোবর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে দুরমুশ করেছিল আফগানরা (Afghanistan)। আর আজ, অর্থাৎ ২০২৪ সালে ২৩ জুন অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিল তারা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই প্রথম অঘটন। সুপার এইট পর্বের ম্যাচে এদিন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান। আফগান বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল অস্ট্রেলিয়া। এদিন প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তান ৬ উইকেটে ১৪৮ রান করে। জবাবে ১৯.২ ওভারে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
মূলত বিধ্বংসী বোলিংয়ের জেরেই আফগানদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি অজি ব্যাটসম্যানরা। সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগার নাইবের। নাইব ২০ রানে ৪ উইকেট নেন। নবীন উল হক ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। মহম্মদ নবি ১ রান দিয়ে এক উইকেট তুলে নেন। তবে রশিদ খান ২৩ রান দিয়ে মাত্র এক উইকেট তুলতে সমর্থ হয়েছেন।
CFL 2024: ফেডারেশনের এই উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো
কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা তথা আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪৯ বলে ৬০ রান করেন। আরেক ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৪৯ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন। বাকিরা অবশ্য তেমন রান পাননি। ওপেনারদের দাপটের জন্যই ১৪৮ রানে পৌঁছয় আফগানরা। ইনিংসে শেষের দিকে অবশ্য জ্বলে ওঠেন প্যাট কামিন্স।
তারকা অজি বোলার এদিন হ্যাটট্রিক করেন। তুলে নেন রশিদ খান, করিম এবং গুলবাদিন নাইবের উইকেট। প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একাধিক হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড গড়েছেন প্যাট। ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতে ভেঙে পড়তে থাকে অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড (শূন্য) এবং ডেভিড ওয়ার্নার (৩) দ্রুত ফিরে যান।
জায়ান্ট কিলার! বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে দিল আফগানিস্তান
৪১ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেললেও দলকে জেতাতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৪ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় অজিরা। এর আগে ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল আফগানরা। সেবার প্রথমে ব্যাট ২৮৪ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে মাত্র ২১৫ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।