ডুরান্ডে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর আইএসএলে ভালো পারফরম্যান্স করার লক্ষ্য ছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গলের (Emami East Bengal)। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। প্রথম থেকেই ধাক্কা খেতে হয়েছে একের পর এক ম্যাচে। সেটা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকল সমর্থকদের। এমন পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তৎকালীন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। পরবর্তীতে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় অস্কার ব্রুজনের হাতে। সময় এগোনোর সাথে সাথে তাঁর তত্ত্বাবধানেই ছন্দে ফিরতে শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। বিশেষ করে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ময়দানের এই প্রধান। সেই সুবাদেই এই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
পরবর্তীতে এই স্প্যানিশ কোচের হাত ধরেই আইএসএলের মঞ্চে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা খুব একটা বাস্তবায়িত হয়নি। ডার্বিতে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে নয়জনে লড়াই করে পয়েন্ট সংগ্রহ করার পর শক্তিশালী নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের দল। যা নিঃসন্দেহে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল ময়দানের এই প্রধানকে। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সেই ম্যাজিক। মাঝে মধ্যেই আটকে যেতে হয়েছে একের পর এক ম্যাচে। কিন্তু তবুও এই নয়া স্প্যানিশ কোচের হাত ধরে সুপার সিক্সে পৌঁছানোর পরিকল্পনা থাকলেও সেটা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে এবার।
বিশেষ করে ঘরের মাঠে ওয়েন কোয়েলের চেন্নাইয়িন এফসির বিপক্ষে বিরাট বড় ব্যবধানে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই যেন সুপার সিক্সের আশা কার্যত শেষ হয়ে গেল ময়দানের এই প্রধানের। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ সমর্থকরা। তবে এবার আইএসএল ভুলে আসন্ন এএফসি টুর্নামেন্টের দিকেই নজর দিতে চাইছেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজন। সেইমতো এখন থেকেই গোটা দলকে প্রস্তুত করতে চান এই স্প্যানিশ কোচ। পাশাপাশি আইএসএলের হতাশা ভুলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ নিয়েই যথেষ্ট আশাবাদী ইমামি কর্তা বিভাস বর্ধন আগরওয়াল।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমরা দলের খেলার দিকে নজর রাখছি। পরবর্তীতে আমরা কোচ এবং টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে কথা বলবো। কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেটা বোঝার চেষ্টা করবো। দলের এমন পারফরম্যান্স যদিও আশা করা যায় না। তবে এখনও অনেক ম্যাচ রয়েছে। পরবর্তীতে সুপার কাপ এবং এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ রয়েছে। সেখানে ও আমাদের দল খেলবে। তবে বেশকিছু ফুটবলারদের চোটের কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ধীরে ধীরে অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। আশাকরি পরবর্তীতে দল আবার ও পুরনো ছন্দে ফিরতে সক্ষম হবে।”