AFC Club Rankings: গত মরসুমে দেশীয় ফুটবলে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। একের পর এক হেভিওয়েট দলকে পরাজিত করে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগ তথা আইএসএল লিগ কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি লিগ শিল্ড ও জয় করেছিল ময়দানের এই প্রধান। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় পাওনা ছিল সকলের কাছে। এই অভূতপূর্ব সাফল্যের দরুন এবার ও এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টায়ার টুয়ে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে মোহনবাগান। আগের বছর খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব না হলেও এবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া মেরিনার্সরা।
সেই লক্ষ্য নিয়েই গত মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল তুর্কমেনিস্তানের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব আহাল এফকে। তবে নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা। তবে শুরুতে রক্ষণাত্মক ফুটবল যথেষ্ট প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছিল সমর্থকদের। তবুও গোল তুলে আনার একাধিক সুবর্ণ সুযোগ ছিল সবুজ-মেরুনের কাছে। কিন্তু কেউই গোলের মুখ খুলতে সক্ষম হয়নি। যারফলে অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয়েছিল ম্যাচের প্রথমার্ধ।
পরবর্তীতে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল তুলে আনার লক্ষ্য নিয়ে দলের মধ্যে বিদেশি সংখ্যা বাড়ানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারের মাঝামাঝি সময় প্রতি আক্রমণে উঠে এসে গোল তুলে নিয়ে যায় আহাল। তুর্কমেনিস্তানের এক তরুণ ফুটবলারের গোল নিঃসন্দেহে নিস্তব্ধ করে দিয়েছিল গোটা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে। পরবর্তীতে বহুবার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন সাহাল আব্দুল সামাদ থেকে শুরু করে অনিরুদ্ধ থাপা ও জেসন কামিন্সের মতো ফুটবলাররা। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে একটি গোলের ব্যবধানেই পরাজিত হতে হয় বাগান ব্রিগেডকে।
আগামী ম্যাচ থেকেই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকবে মোহনবাগানের। তবে এসবের মাঝেই এবার প্রকাশিত হয়েছে এএফসি ক্লাব তালিকা। পূর্বে সেক্ষেত্রে বেশ কিছুটা উপরের দিকে থাকলেও এবার এসিএল টুয়ের প্রথম ম্যাচে মোহনবাগানের আটকে যাওয়ার পর এবার অনেকটাই নেমে আসল ভারত। বর্তমানে ১৯ নম্বরে রয়েছে আমাদের দেশ। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ প্রত্যেকে। তবে এই ধাক্কা কাটিয়ে এবার সহজেই ঘুরে দাঁড়াতে চাইবেন বাগান কোচ। সেক্ষেত্রে ফের বদল হতে পারে ভারতের অবস্থান।