মরসুমের প্রথম থেকেই ছন্দে নেই ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই এখনও পর্যন্ত জয় আসেনি ময়দানের এই প্রধানে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। হতশ্রী পারফরম্যান্স করে চলেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। টানা ছয়টি ম্যাচে পরাজিত হয়ে পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ক্লেটন সিলভার দল। এই পরিস্থিতিতে নিজেদেরকে জয়ের সরণিতে ফেরানোই অন্যতম লক্ষ্য ছিল অস্কার ব্রুজনের ছেলেদের। সেইমতো শনিবার বিকেলে ভুটানের বুকে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের (AFC Challenge League) অভিযান শুরু করেছে ময়দানের এই প্রধান।
যেখানে প্রথম ম্যাচেই তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী পারো এফসির সঙ্গে। নির্ধারিত সময়ের শেষে ২-২ গোলের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। যা নিয়ে প্রচন্ড হতাশ সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রাক্তন সচিব শাজি প্রভাকরণ। কিছুক্ষণ আগেই নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের ম্যাচে অঘটন ঘটানোর পরিস্থিতিতে ছিল পারো এফসি। ইস্টবেঙ্গল এফসি একটা সময় পিছিয়ে থেকেও পারো এফসির বিরুদ্ধে ২-২ ড্র নিশ্চিত করেছে। একটা ভুটানি ফুটবল দলের জন্য এটা খুবই উৎসাহজনক ফলাফল।”
তিনি আরও বলেন, ” উচ্চতার কারণে ভুটানের থিম্পুতে খেলা কোনো দলের জন্যই সহজ নয়। কিন্তু তারপরও আশা করা হচ্ছিল এই ম্যাচ থেকে ময়দানের এই প্রধান পুরো তিন পয়েন্ট পাবে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।” ভারতীয় দলের এমন পারফরম্যান্সে শাজি প্রভাকরণ যে খুব একটা খুশি নন সেটা বলাই চলে। আগামী ২৯শে অক্টোবর এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে লাল-হলুদ ব্রিগেড। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে বাংলাদেশের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে। প্রথম ম্যাচের তুলনায় আসন্ন এই ফুটবল ম্যাচ যে যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে সেটা বলাই চলে।
Paro FC was on the verge of creating a massive upset in the AFC Challenge League match against East Bengal.
East Bengal FC fought back from a deficit to secure a 2-2 draw against Paro FC.
For Bhutanese 🇧🇹 side this is a very encouraging result.
Playing in Thimphu, Bhutan is…
— Shaji Prabhakaran (@Shaji4Football) October 26, 2024
নিজেদের হতাশা ভুলে আদৌ কতটা সুবিধে করতে পারে কলকাতার এই ফুটবল ক্লাব এখন সেটাই দেখার। তবে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই লাল-হলুদ ফুটবলারদের দাপট থাকলেও সেটা স্থায়ী হয়নি। যারফলে একটা সময় এগিয়ে থেকে ও পরবর্তীতে পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল আনোয়ার আলিদের। পরবর্তীতে গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের গোলে হার বাঁচাতে হয় ইস্টবেঙ্গল দলকে। নাহলে অনায়াসেই নবম পরাজয়ের সম্মুখীন হতে পারত মশাল ব্রিগেড।