২০২৫ সালে ডব্লিউপিএল (WPL) একেবারে নতুন আঙ্গিকে শুরু হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। নারী ক্রিকেটে (Womens Cricket) এক লিগের সূচনা শুধু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) জন্যই নয়, পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও এক বড় পদক্ষেপ। প্রথমবারের মতো ভারতে মহিলাদের ক্রিকেটের একটি প্রিমিয়ার লিগ শুরু হয়েছিল। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্রিকেট প্রেমীদেরও আকর্ষণ করেছে। গত বছর যখন প্রথম ডব্লিউপিএল শুরু হয়েছিল, তখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দর্শকরা চমৎকার এক পরিবেশ উপভোগ করেছিলেন। ২০২৪ সালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি ছিল একেবারে জাঁকজমকপূর্ণ এবং অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছিলেন শাহরুখ খান, শাহিদ কাপূর, টাইগার শ্রফ ও বরুণরা।
এবার, ২০২৫ সালের ডব্লিউপিএল ফাইনালের অনুষ্ঠানে এক নতুন মাত্রা যোগ হতে চলেছে। ভারতের ক্রিকেট বোর্ড আবারও ফাইনালের সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে এক জমকালো আয়োজনে পরিণত করার পরিকল্পনা করছে। ১৫ মার্চ, শনিবার, মুম্বইয়ের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই জমকালো ফাইনাল অনুষ্ঠান। সম্ভবত এই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে আসছেন বিশ্বের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী নোরা ফতেহি (Nora Fatehi)। এছাড়া তার সঙ্গে থাকতে পারেন মার্কিন র্যাপার ফ্রেঞ্চ মন্টানা, মিশরের গায়ক ও অভিনেতা মহম্মদ রামাদান, বিখ্যাত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী জ্যাসমিন স্যান্ডলাস এবং ডিজে শ্যাডো।
এই অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ হিসেবে নোরা ফতেহির পারফরম্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তিনি এর আগেও আন্তর্জাতিক ফুটবল থিম সং গেয়েছিলেন এবং বর্তমানে বলিউডে তার শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। এবার, মুম্বইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে নোরা তার বিশেষ পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করবেন। এই অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে, এরপর রাত ৮টা থেকে ফাইনাল ম্যাচ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। তাই সমাপ্তি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডব্লিউপিএল ফাইনালকে আরও স্মরণীয় করে তোলা হবে।
তবে শুধু অনুষ্ঠানই নয়, ডব্লিউপিএল ২০২৫-এর ফাইনালের আগে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এই মরসুমের শীর্ষে থেকে ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এছাড়া মুম্বই ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফাইনালে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, গুজরাট জায়ান্টস ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এবং ১৩ মার্চ তারা মুম্বই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে খেলার জন্য মুখোমুখি হবে।
উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল শুধুমাত্র ক্রিকেট প্রেমীদের জন্যই নয়, পুরো জাতির জন্য এক বিশাল উপলক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে যেমন নারী ক্রিকেটের বড় মঞ্চ তৈরির পথে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে এর মাধ্যমে দেশের মহিলা ক্রিকেটারদের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও ভালোবাসাও আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এমন উদ্যোগ ক্রিকেটের মহিলাদের প্রতিযোগিতার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছুতে এ ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন হতে পারে।