Surajit Sengupta: সুরজিৎ সেনগুপ্তর অনশন, মান্না দে’র বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরি

সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta) তখন খেলতেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan)। কিন্তু বুঝতে পারছিলেন না তাঁকে দলে রাখা হবে কি না। কিংবা তাঁর গুরুত্ব আদৌ রয়েছে কি…

সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surajit Sengupta) তখন খেলতেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan)। কিন্তু বুঝতে পারছিলেন না তাঁকে দলে রাখা হবে কি না। কিংবা তাঁর গুরুত্ব আদৌ রয়েছে কি না। এমন সময় সুরজিৎ সেনগুপ্তর সঙ্গে দেখা করেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাবের প্রতিনিধিরা।

তৎকালীন কলকাতা ময়দানে দলবদলের বহু ঘটনা রয়েছে। ফুটবলারদের আটকে রাখা হতো এমন কথাও শোনা যায়। সুরজিৎ সেনগুপ্তর সঙ্গেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। অনশন করেছিলেন দলবদলের আগে। 

ইস্টবেঙ্গলের অফার পেয়েও মোহনবাগানের প্রতি আনুগত্য বজায় রেখেছিলেন তিনি। বলেছিলেন যে রোভার্স কাপ খেলার পর লাল-হলুদ জার্সি পরবেন। সুরজিৎকে এরপর আর কিছু বলেনি ইস্টবেঙ্গল। 

রোভার্স কাপে খেলার দিন এগিয়ে এসেছে। ট্রেনে উঠে গিয়েছে সুরজিতের লাগেজ। এমন সময় মান্না দে বললেন, ‘তোমার এখন যাওয়ার দরকার নেই। একেবারে সই করে খেলতে নেমো।’ সেনগুপ্ত তখন বেঁকে বসেন। মান্না দে বলতেও পারছিলেন না যে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়ে গিয়েছে। 

ট্রেন থেকে নামানো হল সেনগুপ্তর সমস্ত মালপত্র। তোলা হল মান্না দের গাড়িতে। গাড়ি চলল ডায়মন্ড হারবার। সেখানর একটি হোটেলে রাখা হল সুরজিৎ সেনগুপ্তকে। বিষয়টা তিনি মোটেও ভালোভাবে নেননি। শুরু করেছিলেন অনশন। মান্না দে তখনও ছিলেন। 

সুরজিৎ সেনগুপ্তকে ডায়মন্ড হারবারের নিয়ে যাওয়ার কথা জানতে পেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ক্লাব প্রতিনিধিরা সোজা চলে যান সেনগুপ্ত বাড়িতে। নানান আশঙ্কার কথা শোনান। ভয় পেয়ে যান সুরজিৎ সেনগুপ্তর বাবা। জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘এই অবস্থায় কী করণীয়?’ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘মান্না দের নামে কেস করে দিন।’ তাই করলেন সুরজিৎ সেনগুপ্তর বাবা। মান্না দের নামে থানায় ডায়েরি করা হল। 

অনশন থামাননি সুরজিৎ। শেষে হোটেল থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মান্না দে একটা গাড়ি দিয়ে বলেন, ‘যাও’। সেই সঙ্গে জানান, তাঁর নামে থানায় ডায়েরি হয়েছিল । সুরজিৎ যেন সেটা তুলে নেয়। 

রোভার্স কাপে মোহনবাগানের হয় খেলেননি সুরজিৎ সেনগুপ্ত। খেলছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে।