401st Kolkata Derby: আজ ৪০১ তম ডার্বি হতে চলেছে। ইস্টবেঙ্গল জয়ী – ১৪২ ম্যাচে , মোহনবাগান- ১৩১ এবং ড্র ১২৭টি ম্যাচ। ডার্বিতে মশাল জ্বলবে না কী, পালতোলা নৌকার ঠেলায় জলে পরে আগুন নিভবে?
কুন্তল ঘোষ নামে মোহনবাগান ভক্ত বলছেন, ‘আজ বাঙালির আবেগের ডার্বি। যেদিন থেকে ফুটবল বুঝেছি, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত এইদিন, আলাদা একদিন। আগের রাত থেকেই অস্থিরতা, ম্যাচ শেষে কখনও আনন্দে ভেসেছি, আবার কখনও বিষাদে, দু ক্ষেত্রেই তার রেশ থেকেছে আরো বেশ কয়েকদিন। খেলা অনিশ্চয়তায় ভরা, বিশেষতঃ ফুটবল এবং ডার্বি। শেষ বাঁশি বাজা না পর্যন্ত হয়তো নিশ্চিত থাকা যায় না। কিন্তু, বিগত বেশ কয়েকটা ডার্বিতে আমাদের পারফরম্যান্সের বিচারে এখন ডার্বির ম্যাচের আগের উত্তেজনা আমার কাছে অনেকটা ক্রিকেটের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতোই হয়ে গেছে, যেখানে জিতবোই কথাটাই ঘুরে ফিরে মনের মধ্যে আসে, বলতে দ্বিধা নেই ব্যাবধান নিয়ে প্রেডিকশন চলে। এটা , অনেকেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস বলতে পারেন, আমার কাছে এটা দল গঠন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি, বিপক্ষের দুর্বলতা নিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস, যা অতিরিক্ত কখনই না। আজ, তেমন একটা ম্যাচ, যেখানে আমি বিশ্বাস করি দল একটা ঐতিহাসিক দিন উপহার দেবে, হয়তো মাঠে না থাকার আফশোস থাকবে সারাজীবন ধরে।’
গৌরব দত্ত নামের এক ইস্টবেঙ্গল ফ্যানের বক্তব্য, ‘আজ ডার্বি কলকাতায় না হওয়ায় উত্তেজনা কিছুটা কম । আজ আশা করব লিডটা ১৪২ থেকে ১৪৩ হবে। আমাদের অনেক প্লেয়ার নেই, ২জন বিদেশি প্লেয়ার নেই । তবে দলকে বলবো, নিজেদের বুক থেকে আগুনটা বের করে খেলো । ডার্বিতে কে আছে কে নেই ভেবে লাভ নেই , শুধু কোচের পরামর্শ মেনে ঠান্ডা মাথায় জান বাজি রেখে ফুটবল খেলো । বাকিটা দেখা যাবে।’
লাল হলুদ ভক্ত অনিক লাহা বলছেন, ‘ডার্বিতে আমাদের টিমের অবস্থা ভালো না। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আনোয়ার আলী নেই চোটের কারণে। ডিফেন্সের অবস্থা ভালো না। কি হবে জানি না কিন্তু যারাই খেলবে তাদের উজাড় করে দিতে হবে সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে।’
প্রতীক সেন নামে এক সবুজ মেরুন ভক্ত আবার বলছে, ‘মাকে আমার পড়ে না মনে। শুধু কখন খেলতে গিয়ে হঠাৎ অকারণেএকটা কি সুর গুনগুনিয়ে কানে আমার বাজে,
মায়ের কথা মিলায় যেন আমার খেলার মাঝে।’ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথায় মাকে আমাদের না মনে পড়লেও, মা কিন্তু মনের মাঝেই বিরাজ করেন আদি অনন্ত কাল ধরে।
মোহনবাগান আজও প্রতিটি সমর্থকের কাছে মাতৃসম। তাদের ভালোবাসা, তাদের আগলে রাখা, তাদের হাসি – কান্না, উচ্ছাস সবই মোহনবাগান “মা”-কে কেন্দ্র করেই।
এহেন আবেগ, এমন ব্যাকুল টান প্রতিটি সমর্থক মোহনবাগান এর জন্য অনুভব করে বলেই আজ মোহনবাগান এই উচ্চতায় পৌঁছাতে পেরেছে। আজও মোহনবাগান দলের দ্বাদশতম সদস্য এবং সবচাইতে জরুরী খুঁটি টা এমনই লক্ষ লক্ষ সমর্থক। সেই জোরেই আবার ডার্বির রঙ হবে সবুজ মেরুন।’