Vampire Virus: গল্পের ড্রাকুলার মতো রক্তচোষা ভাইরাসের অদৃশ্য হামলা

গোটা বিশ্বজুড়ে বিভীষিকা ডেকে এনেছিল করোনা ভাইরাস।নিয়েছিল মহামারীর আকার।মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। যার রগরগে ক্ষত আজও মানুষের মনে ছাপ ফেলে রেখে দিয়ে…

গোটা বিশ্বজুড়ে বিভীষিকা ডেকে এনেছিল করোনা ভাইরাস।নিয়েছিল মহামারীর আকার।মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষ। যার রগরগে ক্ষত আজও মানুষের মনে ছাপ ফেলে রেখে দিয়ে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর এই করোনা ভাইরাসের পরে আবিষ্কার হল ‘ভ্যাম্পায়ার ভাইরাস’। যা গবেষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

মার্কিন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন এই ‘ভ্যাম্পায়ার ভাইরাস’। এখন পর্যন্ত এ ধরনের ভাইরাসের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এই বিপজ্জনক ভাইরাসদ্বারা সৃষ্ট রোগকে ‘মিনিফ্লেয়ার’ বলা হয় এবং এটি অন্যান্য ভাইরাসের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে পারে। এবং বিপদজনক পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর রাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের অধ্যাপক তাগুইদে ডিকারভালহো এই আবিষ্কার করেছেন। ‘জার্নাল অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর মাইক্রোবিয়াল ইকোলজি’তে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।

   

প্রকৃতপক্ষে, এই অদ্ভুত ভাইরাসটি একটি ক্লাস প্রজেক্ট হিসাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক ডিকারভালহো। তার ছাত্ররা এই ক্লাস প্রজেক্টের সাথে জড়িত ছিল। অধ্যাপক ডিকারভালহো কিথ আর পোর্টার ইমেজিং সুবিধা পরিচালনা করেন। মেরিল্যান্ডের পোলসিভিলের একটি এলাকা থেকে তিনি তার ছাত্র জেনেল লুস ও হীরা আহমেদের সহায়তায় ভাইরাসটিকে বিচ্ছিন্ন করেন। ২০১৯ সালে প্রফেসর ডিকারভালহোর মাধ্যমে মাটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণায় কী পাওয়া গেছে?

ডেইলি স্টারের রিপোর্টে বলা হয়, অধ্যাপক ডিকারভালহো তার বিশ্লেষণে দুটি ব্যাকটেরিয়াফেজ খুঁজে পেয়েছেন। একটি মিনিফ্লেয়ার এবং অন্যটি মাইন্ডফ্লেয়ার, উভয় ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াকে সংক্রামিত করতে পারে এবং তারপরে তাদের মধ্যে প্রবেশ করে এবং নিজেদের স্থান তৈরি করে। তবে মিনিফ্লারে কিছু অদ্ভুত জিনিস দেখা গেছে। এটি অন্যান্য ভাইরাসের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা না করে ব্যাকটেরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে।

অধ্যাপক ডিকারভালহোর সহকর্মী ইভান এরিল বলেন, ‘মিনিফেলার আক্রমণকারী ব্যাকটেরিয়াকে নিজের বিবর্তন হিসেবে দেখেছিলেন। অপেক্ষা করার পরিবর্তে এটি ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ শুরু করে। হরর ফিল্মের ভ্যাম্পায়াররা যেভাবে মানুষের গলায় লেগে রক্ত পান করে, ঠিক সেভাবেই এটি ব্যাকটেরিয়ায় আটকে যায়। এই ধরনের ভাইরাস মানুষের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।’