পৃথিবী থেকে 1.5 লাখ কিলোমিটার দূর থেকে ভেসে এলো পাখির কিচিরমিচির শব্দ!

Space: বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর ধরে এমন কিচিরমিচির তরঙ্গ সম্পর্কে জানেন, যা বিপজ্জনক বিকিরণের সঙ্গে জড়িত। এই তরঙ্গগুলি মানুষ এবং উপগ্রহ উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে।…

Space

Space: বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর ধরে এমন কিচিরমিচির তরঙ্গ সম্পর্কে জানেন, যা বিপজ্জনক বিকিরণের সঙ্গে জড়িত। এই তরঙ্গগুলি মানুষ এবং উপগ্রহ উভয়কেই প্রভাবিত করতে পারে। এখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি আন্তর্জাতিক দল মহাকাশের একটি নতুন অঞ্চলে এই তরঙ্গগুলি সনাক্ত করেছে। এই তরঙ্গ কোথা থেকে উদ্ভূত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই তরঙ্গগুলি মহাকাশে উপস্থিত সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণগুলির মধ্যে একটি। খবরে বলা হয়েছে, এই তরঙ্গ থেকে নির্গত শব্দ তরঙ্গ পাখির মতো কিচিরমিচির করে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন যে এই তরঙ্গগুলি আমাদের পৃথিবীর উপর দিয়ে যায়। নতুন পর্যবেক্ষণের আগে, এই তরঙ্গগুলি পৃথিবী থেকে মাত্র 51 হাজার কিলোমিটার দূরে আবিষ্কৃত হয়েছিল। এটি এমন একটি জায়গা যেখানে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র সক্রিয়। এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে এই এলাকা থেকেই তরঙ্গ উৎপন্ন হয়।

   

জার্নালে নেচার ম্যাগাজিনে নতুন গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, যে এলাকা থেকে তরঙ্গ উৎপন্ন হয় সেটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার কিলোমিটার দূরে। এই দূরত্বে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র অনেক বেশি বিকৃত। এই আবিষ্কারের অর্থ হল এই তরঙ্গগুলি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি উৎপন্ন হয় না।

এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। সে এই তরঙ্গগুলো আবার বুঝতে চাইবে। তাদের উৎস নতুন করে অন্বেষণ করা হবে এবং দেখা যাবে এই সবের প্রভাব আমাদের গ্রহে কী আছে। পৃথিবীর মতো অন্যান্য গ্রহেও এই ধরনের তরঙ্গ বিদ্যমান। এর মধ্যে রয়েছে মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি ইত্যাদি। নতুন আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করবে কীভাবে বিভিন্ন গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্রগুলি আকার নেয়।