চন্দ্র ও সূর্যের অভিযানের পর এবার মহাসাগর জয়ের পরিকল্পনা ভারতের

আকাশপথের পর এবার জলপথ নিয়ে ব্যাস্ত ভারত। সেই দিগন্ত বিস্তৃত মহাসাগরের গভীর তলদেশ থেকে নিয়ে আসা হবে গোপন তথ্য। যা খুলবে সমুদ্র গবেষণার নতুন পথ।…

আকাশপথের পর এবার জলপথ নিয়ে ব্যাস্ত ভারত। সেই দিগন্ত বিস্তৃত মহাসাগরের গভীর তলদেশ থেকে নিয়ে আসা হবে গোপন তথ্য। যা খুলবে সমুদ্র গবেষণার নতুন পথ। চন্দ্র ও সূর্য অভিযানের পরে এবার ভারতের লক্ষ্য সেই মহাসমুদ্র। সমুদ্রের অতলে লুকিয়ে আছে এমন বহু জিনিস যা এখনও মানুষের অজানা। সেই অজানাকে জানার বাসনা নিয়েই এবার ভারতের গবেষকেরা যাচ্ছে পাড়ি দিতে মহাসমুদ্রের অতল গভীরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫ সালের শেষের দিকে ভারত পা বাড়াবে সমুদ্রযান মিশনের দিকে। সমুদ্রযানের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের ছয় কিলোমিটার গভীরে সমুদ্রে অধ্যায়নের জন্য পাঠানো হবে বিশেষ বিজ্ঞানীদের। এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, সাবমেরিন ‘মৎস্য ৬০০০’-এর সাহায্যে মানুষ সমুদ্রের তলদেশে ৬০০০ মিটার গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এ বছরের শেষ দিকে এই মিশনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা রয়েছে। তার পরেই ভারতের হাতে আসতে পারে পাতালের অমৃত ভান্ডার।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, সমুদ্রের তলদেশে মানুষকে বয়ে নিয়ে যাবে ‘Matsya৬০০০’। এই মিশনের তোড়জোড় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রীর আশা, আগামী বছর ২০২৫ সালের শেষের দিকে সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরতায় বিজ্ঞানীদের পাঠানো যাবে। সমুদ্রযান, বা গভীর সমুদ্র মিশন, ২০২১ সালে চালু হয়েছিল। এই মিশনে মৎস্য ৬০০০ ব্যবহার করে তিনজন বিজ্ঞানীকে পাঠানো হবে সমুদ্রতলে। বিশেষ কিছু সরঞ্জাম এবং সেন্সরগুলির মাধ্যমে সেই জায়গার অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা। মৎস্য ৬০০০-কে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বিজ্ঞানীরা ১২ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। কিন্তু যদি এই যানটি জরুরি কোনও পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে তবে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্তও কাজ করবেন বিজ্ঞানারী। যদি এই অভিযানে সাফল্য আসে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স এবং জাপানের সাথে একই রেখায় রয়ে যাবে ভারতের নাম।

   
Advertisements

আমাদের Google News এ ফলো করুন

২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।

Google News Follow on Google News