HomeScience NewsWorm Moon: পূর্ণিমায় পোকামাকড়ের চাঁদের রহস্য কী! জানুন বিস্তারিত

Worm Moon: পূর্ণিমায় পোকামাকড়ের চাঁদের রহস্য কী! জানুন বিস্তারিত

- Advertisement -

ওয়ার্ম মুন (Worm Moon), কৃমি মুন বা পোকামাকড় মুন অনেকের কাছে একটি নতুন শব্দ হতে পারে। কৃমি চাঁদ কাকে বলে? পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে শীতের শেষ পূর্ণিমা ২৫ মার্চ দেখা গিয়েছিল। নেটিভ আমেরিকানরা এই পূর্ণিমাকে শীতের শেষ বলে মনে করে কারণ এই সময়ে তুষার গলে যায় এবং নতুন ভেজা মাটিতে কেঁচোর প্রথম চিহ্ন দেখা যায়।

আসলে, Full Moon বা পূর্ণিমা সাধারণত একটি ঋতুর প্রাণী, তার রঙ, তার ফসল ইত্যাদির নামে নামকরণ করা হয়। যেমন উলফ মুন, পিঙ্ক মুন, হার্ভেস্ট মুন ইত্যাদি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃমি চাঁদ এখন তার গুরুত্ব হারাচ্ছে কারণ পৃথিবীর আবহাওয়া এখন দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এখন গ্রীষ্মকাল আর্দ্র হতে শুরু করেছে এবং শীত হালকা হতে শুরু করেছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন সারা বিশ্বে দেখা যাচ্ছে।

   

কেঁচো প্রজাতি লুমব্রিকাস টেরেস্ট্রিস পর্যবেক্ষণ করে কীট চাঁদের সময়ের পরিবর্তন বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। এটি অনেক নামে পরিচিত। এটিকে সাধারণ কেঁচোও বলা হয় কারণ এটি যে কোনও জায়গায় দেখা যায় এবং সর্বত্র পাওয়া যায়। অনেক সময় বাড়ির বাগানেও সহজেই দেখা যায়।

কেঁচো তাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় মাটির নিচে কাটায়। কিন্তু লুমব্রিকাস টেরেস্ট্রিস প্রতি রাতেই বেরিয়ে আসে। এটি তার বাড়ি ছেড়ে উঠে আসে, কিন্তু লেজের একটি ছোট অংশ মাটিতে রাখে। এটি রাতে পচা পাতা খায়। তারা পৃথিবীর পৃষ্ঠে প্রজননও করে। এগুলি হার্মাফ্রোডাইট (পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই) হতে পারে।

তাদের প্রজনন কার্যকলাপ অন্ধকারে সঞ্চালিত হয় যাতে কোন পাখি ইত্যাদি তাদের খেতে না পারে। কিন্তু মাটির অবস্থা তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি মাটি খুব শক্ত হয়, বা তার উপর তুষার থাকে, তাহলে তারা বের হতে পারবে না। তত্ত্ব অনুসারে, শীত শেষ হওয়ার পরে তাদের কার্যকলাপ শুরু হয়। কিন্তু যেহেতু শীতকাল এখন হালকা হতে শুরু করেছে, তাই কৃমির চাঁদের তারিখও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। কারণ ওয়ার্ম মুন কেঁচোর কার্যকলাপের সাথে সম্পর্কিত। যদি শীত ইতিমধ্যে শেষ হয়ে যায় তবে একই তারিখে আবার একটি ওয়ার্ম মুন তৈরি হবে। তাই ওয়ার্ম মুন এখন তার গুরুত্ব হারাচ্ছে।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular