গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলছে প্রতি ঘণ্টায় ৩ কোটি টন! কলকাতার কী হবে?

Global Warming: গ্লোবাল ওয়ার্মিং সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের চিন্তিত করেছে। অ্যান্টার্কটিকার বরফ ক্রমাগত কমছে। এখন এটি প্রকাশিত হয়েছে যে গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদর খুব দ্রুত গলে যাচ্ছে।…

Global Warming: গ্লোবাল ওয়ার্মিং সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের চিন্তিত করেছে। অ্যান্টার্কটিকার বরফ ক্রমাগত কমছে। এখন এটি প্রকাশিত হয়েছে যে গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদর খুব দ্রুত গলে যাচ্ছে। এখানে উপস্থিত বরফ আমেরিকার টেক্সাস শহরের চেয়ে তিনগুণ বড়।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ডে তুষার গলে যাওয়ার গতি আগের অনুমানের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় ৩ কোটি টন বরফ গলে যাচ্ছে। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে, যার কারণে এই বৃদ্ধি বহু দেশের উপকূলীয় শহরগুলিতে বিপদ ডেকে আনবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাগর-মহাসাগরগুলিতে জলস্তর বাড়তে থাকলে ভারতের উপকূলীয় শহরগুলি যেমন মুম্বই, চেন্নাই, কোচি এবং হুগলি নদীর মোহনায় অবস্থিত কলকাতা পড়ছে বিপদের মুখে।

গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলা সম্পর্কিত একটি গবেষণা নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানতেন যে গ্রিনল্যান্ডে বরফ গলে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের ধারণা ছিল না যে এর হার এত বেশি হবে। এই গবেষণাটি উদ্বেগজনক কারণ বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে, যা উপকূল বরাবর অবস্থিত শহরগুলির জন্য ভাল খবর নয়।

গবেষণার প্রধান লেখক হলেন নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) এর গ্ল্যাসিওলজিস্ট চ্যাড গ্রিন। তিনি বলেছেন যে গ্রিনল্যান্ডের প্রায় প্রতিটি হিমবাহ পিছলে যাচ্ছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে এটি গ্রিনল্যান্ডের সর্বত্র ঘটছে। গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে তাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য, বিজ্ঞানীরা AI পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন এবং ৩৮ বছরের ডেটা বিশ্লেষণ করেছেন।

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে 1985 সাল থেকে, গ্রিনল্যান্ডের বরফের শীট তার প্রান্তে প্রায় 5,000 বর্গ কিলোমিটার হারিয়েছে, যা এক ট্রিলিয়ন টন বরফের সমতুল্য। আগে বলা হয়েছিল যে 2003 সাল থেকে, গ্রিনল্যান্ডে প্রতি বছর 221 বিলিয়ন টন বরফ নষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এখন দেখা গেছে যে এটি প্রতি বছর 43 বিলিয়ন টন গলছে। এই পরিসংখ্যান সত্যিই চিন্তার।