ভিনগ্রহ থেকে পৃথিবীতে চুম্বক তরঙ্গ। কী বলতে চায় ভিনগ্রহীরা!
পৃথিবীর বাইরে থেকে বারংবার একটি সংকেত ভেসে আসছে পৃথিবীতে। আমেরিকার ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের রেডিও টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে ভিনগ্রহের সেই সংকেত। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন ঘনঘন যে সংকেত আসছে, সেটি পৃথিবীর বাইরের একটি অন্য জগতের গ্রহ থেকে।
পৃথিবী থেকে মাত্র ১২ আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহটি। ওই গ্রহতে পৃথিবীর মতো বায়ুমণ্ডল থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর বাইরে মহাকাশে নানা সময় ঘটে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা। কিন্তু সবকিছুর খবর আমাদের জানা সম্ভব হয় না।
সব খবর না পেলেও মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা সেটি জানার জন্য বিজ্ঞানীরা ফাঁদ পেতে রাখে সারা বিশ্বে। খোঁজ চলতে থাকে অসীম এই মহাবিশ্ব জুড়ে। সেই খোঁজে এবার এলো এক নতুন গল্প।
সম্প্রতি একটি ভিনগ্রহ থেকে এসেছে সংকেত। তা একবার নয় বরং বারবার। আমেরিকান ন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের রেডিও টেলিস্কোপে সম্প্রতি এক অদ্ভুত সংকেত ধরা পড়েছে।বিজ্ঞানীদের দাবি ঘনঘন সংকেত আসছে যে গ্রহ থেকে সেটি মূলত একটি পাথুরে গ্রহ।
গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে YZCTP। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এই গ্রহের পৃথিবীর সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে। পৃথিবীর মতো বায়ুমন্ডলীয় স্তর ও চুম্বক ক্ষেত্র থাকার সম্ভাবনাও প্রবল। তবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এখনো আছে বেশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
গ্রহটি থেকে আসা চুম্বকীয় তরঙ্গ বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। মনে করা হচ্ছে ওই গ্রহে মানুষের বসবাসযোগ্য আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সংকেতটির উৎস সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা গ্রহটির চুম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে তার কেন্দ্রের সংযোগের ফলে সংকেত তৈরি হয়েছে।
সংকেত এতই শক্তিশালী যে তা ১২ আলোকবর্ষ দূরত্ব ভেদ করে পৃথিবী পর্যন্ত এসে পৌঁছতে পেরেছে। গ্রহটি সম্পর্কে ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে গ্রহটি তার নক্ষত্রের এত কাছে অবস্থান করছে যে নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করতে সেটি মাত্র দু দিন সময় নেয়।
আমাদের সৌরজগতের সূর্যের প্রভাব অপরিসীম। সূর্যের প্রভাবের ফলে দিনরাত সংঘটিত হয়। সূর্যের কারণে আমরা পৃথিবীতে অরোরার মতো সুন্দর জিনিস দেখতে পাই। মনে করা হচ্ছে YZCTP নামক গ্রহটি ও আরোরা তৈরি করতে পারে।
বিজ্ঞানীরা অনেক বিচার বিবেচনা করে রেডিও টেলিস্কোপের দ্বারা জেনেছে যে সংকেতটি YZCTP গ্রহ থেকে আসছে। তবে বিজ্ঞানীদের এই গ্রহটিকে নিয়ে আরো গবেষণা করা প্রয়োজন। যে কারণে তাদের দরকার আরো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ।