Indian Tricolor in Atlantic Ocean: ফ্রান্সের সহযোগিতায় কাজ করে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি (NIOT) এর দুই বিশেষজ্ঞ, রাজু রমেশ এবং যতিন্দর পাল সিং, পর্তুগালের কাছে একটি ফরাসি জাহাজে উঠেছিলেন। তারা দুজনেই ন্যাটোয়েল নামে একটি বিশেষ সাবমেরিন দলের সাথে আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরে যাওয়ার মিশনে যোগ দিয়েছিলেন। এই মিশনে, তিনি নটাইল সাবমেরিনের ভেতরে বসে প্রথমে ৪,০২৫ মিটার গভীরতায় এবং তারপর ৫,০০২ মিটার গভীরতায় ডুব দেন। নটাইল একটি অত্যন্ত আধুনিক ফরাসি সাবমেরিন যা ৬,০০০ মিটার গভীরতায় যেতে সক্ষম।
Indian Tricolor in Atlantic Ocean: সমুদ্রের গভীরে পতাকাটি কীভাবে স্থাপন করা হয়?
এই সাবমেরিনটি রোবোটিক অস্ত্র, সেন্সর এবং ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত যা জলের নিচে কাজ করা সহজ করে তোলে। এই রোবোটিক হাত ব্যবহার করে, নাবিকরা সমুদ্রের গভীরে উভয় দেশের পতাকা স্থাপন করেন। এইভাবে, তারা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে তাদের ঐতিহাসিক উপস্থিতি নথিভুক্ত করেন এবং দেখিয়েছিলেন যে এই ধরণের অভিযানের জন্য কী প্রয়োজন।
Indian Tricolor in Atlantic Ocean: এই অভিযানে কী কী বিষয় জড়িত ছিল?
পাঁচ সদস্যের NIOT টিম এই অভিযানের সময় গভীর সমুদ্রে মানুষের ডাইভিংয়ের প্রয়োজনীয় দিকগুলি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ডাইভিং-পূর্ব প্রস্তুতি, জলের নিচে সহনশীলতা, সাবমেরিনকে সঠিক গভীরতায় কীভাবে রাখা যায়, গতিপথের উপর নজর রাখা, যোগাযোগের নিয়ম এবং ডাইভ পরিকল্পনা।
Indian Tricolor in Atlantic Ocean: সমুদ্রযান অভিযানের প্রস্তুতি কেমন?
এই অভিযান থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভারত এখন তার সমুদ্রযান অভিযানের জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই মিশনে, ভারতের নিজস্ব Matsya-6000 সাবমেরিন শীঘ্রই এত গভীরে ডুব দেবে। অনেক ফ্লাইটের ক্লান্তি এবং এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে প্রতিকূল আবহাওয়ায় জাহাজে থাকা সত্ত্বেও, ভারতীয় ডুবুরিদের এই সাফল্য ভারত মহাসাগরের অনুসন্ধানের জন্য একটি বড় অর্জন।
Indian Tricolor in Atlantic Ocean: ভারতের শক্তি বৃদ্ধি পাবে
ভারত ও ফ্রান্সের এই বিশেষ নটিলাস মিশন থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতা এখন ভারতের নিজস্ব সমুদ্রযান মিশনে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে, ভারত সেই ৬টি দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে যারা মানুষ বহন করে এত গভীরতায় সাবমেরিন পাঠাতে পারে। NIOT দ্বারা নির্মিত Matsya-6000 সাবমেরিনটি টাইটানিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি একটি বিশেষ শেলের মধ্যে 3 জনকে 6,000 মিটার গভীরে নিয়ে যাবে। এটি সমুদ্রে খনিজ পদার্থ আবিষ্কার, সামুদ্রিক জীবন নিয়ে গবেষণা এবং গভীর সমুদ্রে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করবে।