কম খরচে পুজোর ছুটিতে ঘুরতে যেতে চান? দেখুন সেরা পাঁচটি পর্যটন কেন্দ্র

বাঙালী যেমন খাদ্যরসিক তেমন ভ্রমণপ্রিয়ও বটে। তাই ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালী খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। তবে শুধু বাঙালীরাই নয়, এই পৃথিবীতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের…

want to travel on durga puja vacation at low cost check out the top five tourist destinations

বাঙালী যেমন খাদ্যরসিক তেমন ভ্রমণপ্রিয়ও বটে। তাই ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালী খুঁজে পাওয়া বেশ দুস্কর। তবে শুধু বাঙালীরাই নয়, এই পৃথিবীতে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের সংখ্যা নেহাতই কিছু কম নয়। দীর্ঘ কাজের ব্যস্ততার মাঝে একটু ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণপ্রেমীরা। অনেকেই আছেন যারা সারাবছর সেভাবে ছুটি না পেলেও পুজোর সময় কয়েকদিনের জন্য ছুটি পেয়ে থাকেন। আর সেই ছুটিতে ঘুরে আসেন নিজেদের পছন্দের ডেস্টিনেশনে। আপনিও কি এবারের পুজোতে (Durga Puja Vacation) কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবছেন? কিন্তু কোথায় ঘুরতে যাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না?

তাহলে কম খরচে ঘুরতে যাওয়ার সেরা কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের খোঁজ দেব আমরা। সেই তালিকার প্রথমেই রয়েছে ঘাটশিলা। হাওড়া থেকে ঘাটশিলা যাওয়ার ট্রেনের ভাড়া পড়বে মোটামুটি ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে। ঘাটশিলার দর্শনীয় স্থানগুলো গাড়ি করেই দেখে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে আগে থেকেও গাড়ি বুক করে রাখতে পারবেন। আপনি যদি সেখানে রাতে হোম-স্টেতে থাকতে চান তাহলে হোম স্টেগুলির প্রতি রাতের ভাড়া খাওয়াদাওয়া-সহ পড়বে ১০০০-১২০০ টাকা। দু’দিন থাকলেও সব মিলিয়ে ৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হবে না।

   

আর আপনি যদি ঘাটশিলায় থাকতে না চান তাহলে সকাল ১০টার মধ্যে ঘাটশিলা পৌঁছে গেলে সে দিনই সন্ধ্যার ট্রেন ধরে রাতে ফিরে আসতে পারবেন। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রায়চক। কলকাতা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ডায়মন্ড হারবারের একটি ছোট্ট শহর রায়চক। রোমাঞ্চকর ভ্রমণপ্রেমীদের অ্যাডভেঞ্চারের জন্য রয়েছে রায়চক জেটি বা পার্শ্ববর্তী নুরপুর জেটি। এখান থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কুকড়াহাটি বা হাওড়া জেলার গাদিয়াড়া যাওয়ার জন্য অনায়াসে নদী তীরবর্তী ফেরির সুবিধা পাবেন। আপনি যদি জেটি করে ভ্রমণ করতে চান তাহলে খরচ পড়বে ৩০ মিনিটের জন্য ১০ টাকা।

রায়চকের আকর্ষণীয় বিষয় হল হুগলি নদীর তীর। গ্রীষ্মকাল বাদে সারা বছরই এখানে যাওয়া যেতে পারে। গঙ্গার তীর রায়চক, দ্যা ফোর্ট, হোটেল সি বার্ড ইনটেল সহ অনেক জায়গাতেই আপনি থাকতে পারবেন। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইছামতি নদীর তীরে, কলকাতা থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে টাকি শহর। এই নদীর অপর পাড়ে বাংলাদেশ রয়েছে। সুন্দরী, গোলপাতা ইত্যাদি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী বিভিন্ন রকম গাছের সমন্বয়ে টাকি পৌরসভা একটি ছোট সুন্দরবন তৈরি করেছেন। সেখানে ফেরিঘাট থেকে ফেরি করে আপনি অনায়াসে প্রায় ১২৯ একর জমি নিয়ে গঠিত মাছরাঙ্গা দ্বীপটি ঘুরে দেখতে পারবেন।

এছাড়াও ১০০ টাকা দিয়ে একটি ভ্যান রিক্সা ভাড়া করে আপনি টাকির বিভিন্ন ঐতিহাসিক জায়গাগুলি অনায়াসে ভ্রমণ করতে পারবেন। এখানকার আকর্ষণীয় বিষয়গুলো হল ইছামতি নদীর তীর, ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজবাড়ি। তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ুর চিরহরিৎ পাহাড়ি স্থান কুন্নুর। নীলগিরি জেলায় অবস্থিত এই সবুজ এবং সুন্দর স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলকে আকর্ষণ করে। সবুজে মোড়া এই স্থান বন্য ফুল এবং পাখির বৈচিত্রের জন্য বেশ বিখ্যাত। প্রাকৃতিক দৃশ্য ছাড়াও আপনি এখানে ট্রেকিং উপভোগ করতে পারবেন। তাই পুজোর ছুটিতে যেতেই পারেন এই জায়গায়।

তবে অক্টোবর মাসে কুন্নুরে একটু ঠান্ডা পড়ে। আপনি চাইলে সেইসময় বাদে অন্যসময়ও যেতে পারেন। তালিকার সর্বশেষ স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের সাহিবগঞ্জ। কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ট্যুরিস্ট স্পট। হাওড়া স্টেশন থেকে জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়ে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়, জলপ্রপাত ও ঐতিহাসিক স্থান নিয়ে বেষ্টিত এই স্থানে আপনি একবার ঘুরে আসতে পারেন। তাহলে আর দেরী না করে শীগ্রই ঘুরে আসুন এই পাঁচটি দর্শনীয় স্থানে (Durga Puja Vacation)।