সুপর্ণা পাড়ুই, কলকাতা: হাতে গোনা আর কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই পিতৃপক্ষের শেষ আর দেবীপক্ষের শুরু। আর আপামোর বাঙালি মেতে উঠবে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2025) আনন্দে। রাত জেগে ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে দেদার পেটপুজো। এই কটাদিন আবার ডায়েট কীসের! এই দুর্গাপুজোর আনন্দে পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মেতে উঠবেন লাজবন্তী রায়। সম্প্রতি Kolkata 24×7-র সঙ্গে ভাগ করে নিলেন পুজোর চারদিনের প্ল্যাবন।
আমার ছোটবেলা থেকেই আসানসোলে কেটেছে। তবে আমার আদিবাড়ি হচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু বাবার চাকরিসূত্রে আসানসোলে চলে আসেন আর এখানেই কেটেছে বহুবছর। এরপর কলকাতা। আমি বাংলাদেশের রানী হেমন্ত কুমারীর বংশধর। সেহেতু আমার কাছে পুজো মানেই সাবেকিয়ানা, থিমের ছোঁয়া আমাকে খুব একটা টানে না। তবে ইচ্ছে রয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একবার পরিবারের সকলকে নিয়ে বাংলাদেশ যাওয়ার। তবে দুর্গাপুজোতে একটা সময়ে শুটিং বিভিন্ন মন্ডপে উদ্বোধন নিয়ে ব্যলস্ত থাকতাম সঙ্গে গানের অনুষ্ঠান। তাই সেই ভাবে পুজোয় ঘোরার সময় পেতাম না। তারপর আবার পুজো এলেই বাইরে চলে যেতাম বেড়াতে। তবে এই বছর কোথাও যাবো না, মেয়েকে নিয়ে একটু বেরোবো। পরিবার, বন্ধু ও আত্তীয়স্বজনকে নিয়ে থাকব।
কিন্তু আমার ওই প্যা ন্ডেল হপিং করার ইচ্ছা থাকে না কোনও বছরই। আমাদের অ্যা পার্টমেন্টেই পুজোর চারদিন ধরে খাওয়া-দাওয়া আড্ডা সবই চলে। অন্য। বছর পুজোতে থাকতে না পারলেও এই বছর আমি ভেবেছি পুজোতে আমি এখানেই কাটাবো।
আর পুজোতে শপিং বলতে আলাদা করে কিছু থাকে না। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে কয়েকদিন আগেই বেড়িয়ে ছিলাম কেনাকাটি করতে। ওতো সারাবছরই শপিং করে কিন্তু মায়ের সঙ্গে একদিন বেরোতেই হবে। এই বছর দুর্গাপুজোতে আমার মিউজিক লঞ্চের বিষয় থাকলেও আমি দুর্গাপুজো কাটিয়ে একেবারে কাজে ফিরবো বলেই ঠিক করে নিয়েছি।