এবছর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপুজোর (Durga Puja) উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ সিঁদুর খেলায় সামিল হবেন স্মৃতি ইরানি। ঝাড়গ্রামের একটি পুজো কমিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। খবর বঙ্গ বিজেপি সূত্রে ।
দুর্গাপুজোর আর ২৪ দিন বাকি। বিগত কয়েক বছর ধরেই, বাংলার দুর্গাপুজো আর শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের পুজো নেই। তাতে রং লেগেছে রাজনৈতিক লড়াইয়েরও। এবছরও বাঙালির আবেগ ছুঁয়ে যেতে দুর্গাপুজোয় সামিল হতে চলেছেন মোদি সরকারের এক ঝাঁক মন্ত্রী ও বিজেপির শীর্ষ নেতারা।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে থেকে দক্ষিণবঙ্গ, একাধিক পুজোর উদ্বোধন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে থাকবেন তারা। তবে সবার মধ্যে এবছর নজরে থাকবে, কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো – সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। সেখানে এবারের থিম – অযোধ্যার রাম মন্দির। উদ্বোধন করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সিঁদুর খেলায় অংশ নেবেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
বালুরঘাটের একটি পুজো উদ্বোধন করার জন্য, অমিত শাহর কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ঝাড়গ্রামের একটি পুজো কমিটির তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, এখনও কোনও সবুজ সঙ্কেত আসেনি। বিগত কয়েক বছরে সল্টলেকের EZCC-তে আয়োজিত দুর্গাপুজোর, নেপথ্যে উদ্যোক্তা ছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতা নেত্রীরাই। এবার EZCC-র বদলে সেই পুজো হবে রাস্তার ঠিক উল্টো দিকে। অরাজনৈতিক সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে, পুজো পরিচালনা করবেন বিজেপি কর্মীদের একাংশই। শারদ সম্মান দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে এখনও তৃণমূল নেতাদেরই বাজার গরম। অরূপ বিশ্বাস থেকে সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম অসংখ্য তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের পুজো থেকে শহর থেকে শহরতলি জুড়ে।