ব্রিগেডের পর ‘৭-এ সমুদ্র’ স্লোগান হিট, লোকসভায় কি CPIM ফিট? সেলিম দিলেন জবাব

প্রত্যাশিত ‘জনসুনামি’। বিশ্লেষণে উঠে আসছে এশিয়ার অন্যতম বড় এই ব্রিগেড ময়দান ভিড়ে ভরিয়ে দেওয়া CPIM এর কাছে কিছু ব্যাপার না। দলটির যুব সংগঠন DYFI যে…

প্রত্যাশিত ‘জনসুনামি’। বিশ্লেষণে উঠে আসছে এশিয়ার অন্যতম বড় এই ব্রিগেড ময়দান ভিড়ে ভরিয়ে দেওয়া CPIM এর কাছে কিছু ব্যাপার না। দলটির যুব সংগঠন DYFI যে সাংগঠনিক শক্তি দেখিয়ে বিপুল জমায়েত করে দেখাল তা যে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে ইর্ষনীয়। এ রাজ্যে একমাত্র মমতা ব্যানার্জির ডাকে এমন জমায়েত হতে পারে। বিজেপির জনসভাগুলির উপস্থিতি নিয়ে যতটা বলা হয় তা বাস্তবে মেলে না।

রবিবার বাম যুব ব্রিগেড সমাবেশের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবি ধরেই নতুন স্লোগান ‘৭-এ সমুদ্র’। উপর থেকে তোলা জনসভার ছবি জনসমুদ্র বলেই মনে হবে।

   

এ রাজ্যে এক যুগের বেশি বামপন্থীরা সরকারে নেই। গত লোকসভা ভোট থেকে যে শূন্যতা ঘিরে ধরেছে সিপিআইএমকে, সেটি গত বিধানসভা ভোটেও ছাড়েনি-শূন্য। তবে ব্রিগেডের সমাবেশে একশ তে ১০০ পায় বাম শিবির। প্রশ্ন ওঠে ব্রিগেডের জনতা বাম ভোটের ঝুলিতে কেন ঢোকেনা।

রবিবার দলীয় যুব সংগঠনের ব্রিগেড সমাবেশ থেকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘‘কেউ কেউ বলতে শুরু করেছেন, এত লোক তো হলো, কিন্তু ভোট কী হবে?’’ তিনি  আরও বলেন ‘‘পঞ্চায়েত ভোট দেখেছে বাংলা। তা ছিল ট্রেলার। লোকসভায় পুরো ‘পিকচার’ দেখা যাবে।’’

ব্রিগেড থেকে লোকসভা ভোটের দিকে দলীয় যুব ও ছাত্র সংগঠনকে নজর দিতে বলেছেন মহম্মদ সেলিম। বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘ফিরে গিয়ে মহল্লায় মহল্লায়, বুথে বুথে প্রতিরোধ গড়তে হবে।”

সেলিম সংসদে বামপন্থীদের ভূমিকা মনে করিয়ে বলেন, ‘‘আমরা চেয়েছি ৩৬৫ দিন কাজ। কাজের অধিকারের স্বীকৃতি। স্বাধীনতার পর সেই আইন হয়নি। কিন্তু একশো দিন কাজের আইন করা গিয়েছিল। কারণ দেশের সরকারকে বামপন্থীদের কথা শুনে চলতে হতো।”