লোকসভা নির্বাচনের আগে পঞ্চায়েত (panchayat) নির্বাচন সেমিফাইনাল৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলির ফলাফল আগামী দিনের পূর্বাভাস দেয়। তেমনই রাজ্য রাজনীতিতে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাজার গরমের চেষ্টা করছে বিজেপি ও তৃণমূল৷ অন্যদিকে, শূন্যের খরা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে বাম ও কংগ্রেস। ফলাফলের দিকে থেকে বামেরা অনেকটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারলেও কংগ্রেসের প্রদীপ এখন নিভু নিভু৷ তবে কী বাংলা জড়ো যাত্রা তাঁদের পালে হাওয়া দেবে৷
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচন থেকেই বাংলায় বামেদের বিপর্যয় শুরু হয়েছিল৷ ১৯ এর নির্বাচনে একজনও বাম প্রতিনিধিকে লোকসভায় পাঠাতে সক্ষম হয়নি আলিমুদ্দিন৷ সেই সময় দুটি আসন পেয়ে মানরক্ষা করেছিল কংগ্রেস। এরপর বিধানসভায় বামেদের সঙ্গে জোট করে আর খোঁজ মেলেনি কংগ্রেসের। এমনকি ভোট শতাংশেও তাঁদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল৷
পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের পরিবর্তন করে বামেরা৷ রাজনৈতিক বিবর্তনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জোট থেকে বেরিয়ে এসে একাই লড়াই করে জায়গা দখলের চেষ্টা করছে তাঁরা৷ কিন্তু বাংলায় কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থা যা, তাতে দেশে সবচেয়ে পুরাতন দলের সংগঠন পুনরায় উদ্ধার করা বেশ কষ্টসাধ্য। তবে কী সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা অধীর রঞ্জন চৌধুরীদের কাজ সহজ করবে? বুধবার সকালে কংগ্রেসের যাত্রা শুরু হতেই এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে৷
এই মুহুর্তে ভারত জড়ো যাত্রায় রয়েছেন রাহুল গান্ধী। শুরুতে তাঁর যাত্রা নিয়ে সমালোচনা হলেও পরবর্তীকালে ভারত জোড়ো নিয়ে একাধিক রাজনৈতিক ব্যাখা দিতে দেখা গেছে৷ এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে কংগ্রেসের সরকার গঠন দলকে নতুন করে চাঙ্গা করেছে৷ এখন বাংলার কংগ্রেসও একই কাজ করতে চাইছে। তবে জাতীয় স্তরে তৃণমূলকে সঙ্গে চাইলেও রাজ্যজুড়ে কংগ্রেসের যাত্রায় শাসক দলকে পাশে চায় না তাঁরা। বরং বামেদের পাশে নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সমান্তরাল আক্রমণ শানাতে চায় কংগ্রেস।
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখা, ভারত জড়ো যাত্রায় কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে নজর কাড়লেও, সংগঠন নিয়ে এখনই গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে অধীর রঞ্জন চৌধুরীদের। তা না হলে আগামী দিনে দলের কঙ্কালসার সংগঠনের জেরে তাঁদের নির্বাচনের ফলাফল আরও নিম্নমুখী হতে পারে৷