“আমরা আদিবাসী, হিন্দু নই”, কংগ্রেস নেতার বক্তব্যে পাল্টা কোপ বিজেপির!

ভোপাল: আদিবাসীরা হিন্দু নয় বলে দাবী করে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়লেন মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা উমাঙ্গ সিংঘার। বৃহস্পতিবার আদিবাসী ছিন্দওয়ারা শহরের আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে তিনি…

"আমরা আদিবাসী, হিন্দু নই", কংগ্রেস নেতার বক্তব্যে পাল্টা কোপ বিজেপির!

ভোপাল: আদিবাসীরা হিন্দু নয় বলে দাবী করে তুমুল বিতর্কের মুখে পড়লেন মধ্যপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা উমাঙ্গ সিংঘার। বৃহস্পতিবার আদিবাসী ছিন্দওয়ারা শহরের আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের বৈঠকে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত যে আমরা আদিবাসী, হিন্দু নই। আমি অনেকবছর ধরে এই কথা বলে আসছি। আর ভগবান রামচন্দ্রকে উচ্ছিষ্ট খাওয়ানো শবরীও একজন আদিবাসী ছিলেন”। এই মন্তব্যের পরেই বিজেপির তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছেন উমাঙ্গ সিংঘার (Umang Singhar)।

যদিও তিনি জানিয়েছেন, কোনও ধর্মকেই ছোট করার উদ্দেশ্যে তিনি এই মন্তব্য করেননি। তাঁর কথায়, ক্ষমতায় যে রাজনৈতিক দলই থাকুক না কেন, আদিবাসীদের (Tribals) যথাযথ সম্মান দেওয়া উচিৎ। “আমি কোনও ধর্মকে ছোট করছি না। কিন্তু আমাদের সম্প্রদায়, ঐতিহ্য, সংস্কৃতিকেও যথাযথ মর্যাদা দেওয়া উচিৎ”, বলে উল্লেখ করেন তিনি।

   

পাশাপাশি, বিজেপি (BJP) এবং আরএসএসের (RSS) বিরুদ্ধে তোপ দেগে কংগ্রেস নেতা সিংঘার বলেন, “আরএসএস এবং তাদের সংসৃষ্টরা কোনদিন আদিবাসীদের “বনবাসী হিন্দু” হিসেবে হিন্দু ধর্মে আত্তীকরণের চেষ্টা করেনি। আসলে তাদের বড় উদ্দেশ্যই হল সংরক্ষণ তুলে দেওয়া”। বিরোধী দলনেতাকে এই বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব (Mohan Yadav)।

Advertisements

একটি ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সর্বদা হিন্দু এবং হিন্ধু ধর্মের বিরোধিতা করতেই ব্যস্ত। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।” সেইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, “ওরা যদি হিন্দু ধর্মের উপর প্রশ্ন তোলে তাহলে সাধারণ মানুষ কোনদিন ক্ষমা করবে না। কংগ্রেস নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ”। বিজেপির কটাক্ষের প্রত্যুত্তরে বিজেপি এবং আরএসএস-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা।

তাঁর বক্তব্য, নিজেদের উগ্র হিন্দুত্ববাদের কোপে আদিবাসীদের পরিচয়কে মুছে দিতে চায় বিজেপি এবং সংঘ। তিনি বলেন, “এই দেশের আসল বাসিন্দা হলেন আদিবাসীরা। আমাদের প্রকৃতি পুজো কেন বন্ধ করতে চায় বিজেপি এবং আরএসএস? আমরা কোনও ধর্মকে অসম্মান করছি না। আমিও হিন্দু ধর্মকে সম্মান করি। কিন্তু যেই আদিবাসীদের প্রসঙ্গ আসে, বিজেপি নিজেদের অ্যাজেন্ডা কার্যকর করাতে চায়!”