TMC vs BJP: তৃণমূলের শহিদ দিবস মঞ্চে আগুন নন্দীগ্রামে, সকাল থেকে জারি অবরোধ

শুক্রবার তৃণমূলের(TMC) তৈরি করা শহিদ দিবস উদযাপনের মঞ্চে আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর করপল্লীতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। প্রায়…

শুক্রবার তৃণমূলের(TMC) তৈরি করা শহিদ দিবস উদযাপনের মঞ্চে আগুন লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামের গোকুলনগর করপল্লীতে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। প্রায় ১০ মিটার দূরে বিজেপির মঞ্চ থাকলেও সেখানে হামলা হয়নি। এই থেকে অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের তৈরি মঞ্চে পরিকল্পিতভাবে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। এর প্রতিবাদেই জায়গায় জায়গায় চলছে পথ অবরোধ। 

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামের ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। প্রতি বছরেই জমি রক্ষা কমিটির ব্যানারে পালন করে এসেছেন তৃণমূলের নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে এখন সেই জায়গায় দুটি করে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। এবারের সেই দুই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কিন্তু দিন গড়াতেই বিজেপির বিরুদ্ধে মঞ্চে আগুন লাগানো নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। 

এদিন ট্যুইট করে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘নন্দীগ্রাম। বিজেপির হামলা এবং গতকালের মঞ্চে আগুন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ গোকূলনগরে। শুক্রবার সকালে। রাতের অন্ধকারে কাপুরুষোচিত হামলায় প্রমাণিত, ওদের ধস নামছে, তাই রাগ”। কুনাল ঘোষ এর দাবী, কেউ কোনো প্ররোচনায় পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এখন ওখানে আছেন।

গতকাল অবশ্য তৃণমূলের শহিদ সভার সময় গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল। শেখ সুফিয়ানকে মঞ্চে তোলা নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হন তৃণমূলের একাংশ। বেশ কিছু সময় ধরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামতে হয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্রকে। পরে তিনি বলেন, যাঁরা আপনারা এখানে এসে গন্ডগোল পাকাচ্ছেন তারা বিজেপির লোক। আপনারা পরিকল্পিতভাবে এখানে গন্ডগোল পাকাতে এসেছেন। যার যা বলার আছে আমাকে জানাবে।

কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি‌ বলেন, অনুষ্ঠান নষ্ট করতে কেউ তোমাকে পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিকেল ৩ টের মধ্যে মঞ্চ উপড়ে ফেলে দিয়ে আসব। এটা ভূমি উচ্ছেদ কমিটির সভা, এটা দলের সভা নয়। কে উঠেছে, কে ওঠেনি সেটা পরের কথা।

তৃণমূল নেতা স্বদেশরঞ্জন দাসের অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বৃহস্পতিবার রাত দুটো নাগাদ শহিদ স্মরণ মঞ্চে আগুন লাগিয়ে দেয়। গ্রামবাসীরা টের পেয়ে ছুটে গেলে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। গ্রামের মানুষই জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেয়। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।