TMC: ফুঁসছে জঙ্গলমহল, অখিলের মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভের মুখে খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে রাজ্যের মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে,মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। দেশের প্রথম…

রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে রাজ্যের মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। মন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে,মন্ত্রীর পদত্যাগ এবং তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির কুরুচিকর এবং আপত্তিজনক মন্তব্যের জেরে এখন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তৃণমূলের (TMC) অন্য এক মন্ত্রীকে। এমনকি বিক্ষোভের মুখে পড়ে খালি পায়ে হেঁটে গাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন তিনি।  

রবিবার সকালে বাঁকুড়ায় আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। সেই সময়েই বাঁকুড়া খাতড়া পাম্প মোড়ে আদিবাসীদের বিক্ষোভে চলছিল। সেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। মন্ত্রীর পথ আটকায় সাধারণ মানুষ। এরপর বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা। বিক্ষোভের জেরে গাড়ি ছেড়ে, খালি পায়ে হেঁটে পালিয়ে যান। 

রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন,’ সম্মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে উল্লেখ করে অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন ব্যক্তিগত ভাবে আমি সমর্থন করি না। দলও সমর্থন করে না। অখিল গিরি যা মন্তব্য করেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। আমি একজন আদিবাসী মহিলা হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি’।

উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল তৃণমূল। সেই সভা থেকে রাজ্যের কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?

মূলত, শুভেন্দু অধিকারীর করা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে গিয়ে এধরনের মন্তব্য করে বসেন রামনগরের বিধায়ক। এর আগে অবশ্য তৃণমূল বিধায়ক সম্পর্কেবিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, দাঁত ফোকলা হাফ মন্ত্রী। কাকের মতো দেখতে। এসব লোকের কথার উত্তর দিই না। শুভেন্দুর জবাবে একথা বলে বিপদে পড়েছেন তিনি।

আগামী সপ্তাহেই জঙ্গলমহল সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিল গিরির এই মন্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিতে পারে। এমনটাই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে রাজ্যের আরও মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ সেই জল্পনায় ঘৃতাহুতি দিয়েছে।