TET SCAM: অনলাইন থেকে অফলাইন, বেলাগাম দুর্নীতির ওপর নজর ইডির

Manik Bhattacharya

মানিক ভট্টাচার্যের টেট দুর্নীতিতে (TET SCAM) গ্রেফতারির পর থেকে ইডির নজরে এসেছে একাধিক ব্যক্তি। মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকেও একাধিকবার তলব করেছে ইডি। উঠে এসেছে অফলাইনে ভর্তির জন্য বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গ। কিন্তু এবার ইডির নজর পড়েছে প্রাইভেট ডিএলএড অর্থাৎ টিচার্স ট্রেনিং কলেজগুলিতে। অফলাইন নয় অনলাইনে ভর্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে বেলাগাম দুর্নীতি।

Advertisements

ইডি সূত্রে খবর, শুধুমাত্র অফলাইন নয়, ইডির নজর এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট এবং সার্ভারের দিকে। ইডির তরফে বলা হয়েছে, প্রাইভেট টির্চাস ট্রেনিং কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু ছিল। সেই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াতেই কারচুপি হয়েছে। তাই বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী অফলাইনে ভর্তি হয়েছে বলেই ধারণা ইডির। 

ইডির অনুমান, অনলাইনে ভর্তির সময়ে সার্ভারে কারসাজি করা হয়েছে। সার্ভার জ্যাম করে কারসাজি করা হয়েছে বলে সন্দেহ ইডির। তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই জ্যাম করে দেওয়া হত সার্ভার। ফলে নির্দিষ্ট সংখ্যক আবেদনকারীদের পরে বাকিদের রেজিস্ট্রেশন আন-সাকসেসফুল বলে চিহ্নিত হত। যার ফলেই বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হতে হত অফলাইনে। 

Advertisements

কয়েকদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। হাজিরা দিতে এসে তাপস দাবি করেন, অফলাইনে ভর্তির ৫ হাজার টাকা করে নেওয়ার জন্য মহিষবাগানের অফিসে লোক পাঠাত মানিক ভট্টাচার্য। ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হত সেখানে ৩০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেওয়া হত। বাকি ৪ হাজার ৭০০ টাকা কী কারণে নেওয়া হত? সেটা মানিক বাবু বলতে পারবেন। তিনি আরো জানান যে, তিন বছর ধরে অফলাইনে ভর্তি হয়েছিল। তাপস মন্ডলকে ‘কোন খাতে কত টাকা খরচ হয়েছে’ এই প্রশ্ন করা হলে তাঁর বক্তব্য, প্রথমে বুঝতে পারিনি, পরে বুঝতে পারি বাপ ব্যাটা মিলে লুটে পুটে খাওয়ার ফাঁদ পেতেছিল। লেট ফাইনের নামে ৪৭০০ টাকা করে কী কারণে নেওয়া হত? সেটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।