অবশেষে তৃণমূলের হয়ে উপনির্বাচনে লড়াই করার টিকিট পেলেন সায়ন্তিকা (Sayantika Banerjee)। ব্রিগেডের সভা থেকে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হলে অভিমান হয়েছিল সায়ন্তিকার। কেননা সেই প্রার্থী তালিকায় ছিল না তাঁর নাম। এই নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখও খুলেছিলেন সায়ন্তিকা। বারানগর উপনির্বাচনে লড়াই কারার টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এজন্য তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বরানগর থেকে তৃণমূলের হয়ে জয়ী হয়েছিলেন তাপস রায়। দলের সঙ্গে তাঁর বিরোধ তৈরি হলে লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল থেকে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই তাপস রায়কে লোকসভা ভোতে লড়ার টিকিট দেয় দল। অন্যদিকে বিধায়ক পদ খালি হয়ে যাওয়ায় উপনির্বাচন ঘোষণা হয় বরানগরে। আর সেখানেই তৃণমূলের হয়ে টিকিট পেয়েছে অভিনেত্রী।
টিকিট পাওয়ার পর আপ্লুত সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমি আমার দলের কাছে কৃতজ্ঞ। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার অভিভাবক সুজিত বসুর কাছে আশীর্বাদ নিয়েছি। আমরা এই লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আমি আশাবাদী। যেমন ভাবে এই সিটটা তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে ছিল এবং জয়লাভ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস, সেই ভাবেই এই সিটটা আমরা আমাদের নেত্রীর কাছে তুলে দিতে পারব। সুস্থ সুন্দর রাজনৈতিক লড়ায়ের জন্য আমরা প্রস্তুত।’
উপনির্বাচনে বরানগর কেন্দ্র থেকে সজল ঘোষকে টিকিট দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যেহেতু সজল ঘোষের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাপস রায় তাই অনেকে ভাবছেন তাপস রায়ের ঘনিষ্ঠদের ভোট যাবে সজলের পক্ষেই। তাহলে বরানগরে স্বাভাবিক ভাবেই হতে চলেছে কঠিন লড়াই। অন্যদিকে স্থানীয় দলীয় কর্মীরা প্রার্থী হিসেবে অভিনেত্রীকে চাইছিলেন না বলে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। কঠিন জমিতে দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী সায়ন্তিকা ভোটবাক্সে মানুষকে কতটা টানতে পারেন সেটাই এখন দেখার।