নয়াদিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর: ভারতীয় জনতা পার্টির (India Politics) রাজ্যসভার সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী কংগ্রেস পার্টি এবং তাদের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, কংগ্রেস সম্পূর্ণ ভাবে পাকিস্তানের মুখপাত্রের মত কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, কংগ্রেস আন্তর্জাতিক কূটনীতি, ভারত বিরোধী প্রচার এবং এমনকি ক্রীড়াক্ষেত্রেও পাকিস্তানের স্বার্থে কথা বলছে। এশিয়া কাপের ম্যাচ নিয়ে সুধাংশু ত্রিবেদীর এই মন্তব্যে বেড়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
রবিবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ত্রিবেদী বলেন, “কংগ্রেস পার্টি পাকিস্তানের প্রতিটি ভারতবিরোধী এজেন্ডায় সমর্থন দিতে প্রস্তুত, সেটা আন্তর্জাতিক কূটনীতি হোক, তথাকথিত ভারতবিরোধী প্রচারণা হোক, বা ক্রীড়াক্ষেত্র হোক। কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের বক্তব্য পাকিস্তানি মিডিয়ায় যে পরিমাণে শিরোনাম হয়েছে এবং ভারত ও তার সেনাবাহিনীর মনোবল ভাঙার জন্য তারা যে উন্মুক্ত মন্তব্য করেছেন, তা উদ্বেগজনক।
অথচ ভারতীয় খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ানোর ক্ষেত্রে তারা সম্পূর্ণ নীরব। এটি একটি বিষয় স্পষ্ট করে—জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ রাখলেই ভারত তাদের হৃদয়ে থাকে না।” গতকালের এশিয়া কাপ ফাইনাল এবং শনিবারের করুরের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত এবং মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের নেতা অতুল লন্ধে পাটিল পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ খেলার বিরোধিতা করেছেন।
তিনি ভারতীয় ক্যাপ্টেন সুর্যকুমার যাদবের পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নকভির সঙ্গে হ্যান্ডশেকের ভিডিও শেয়ার করে ‘জাতীয়তাবাদী নাটক’ বলে সমালোচনা করেছেন। ত্রিবেদী রাউতের এই বক্তব্যকে পাকিস্তানের এজেন্ডা বলে অভিহিত করেছেন। ত্রিবেদী আরও বলেন, “কংগ্রেস এবং তাদের জোটের নেতারা ভারতের জয়কে সমর্থন না করে পাকিস্তানের মিডিয়ার শিরোনামে স্থান পাওয়ার জন্য ব্যস্ত।
তারা ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জনগণের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছে।” তিনি উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানের মিডিয়া, যেমন ডন এবং জিও নিউজ, রাউতের বক্তব্যকে প্রচার করেছে, যা ভারতের বিরোধী প্রচারের অংশ। ত্রিবেদী প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন কংগ্রেস ভারতীয় খেলোয়াড়দের জয় উদযাপন করছে না? কেন তারা শুধু বিতর্ক সৃষ্টি করছে?” সুধাংশুর মত অন্যান্য বিজেপি নেতারাও দাবি করেছেন, কংগ্রেসের এই আচরণ জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে।
মাধ্যমিক পাসের জন্য রেলে ১১৪৯টি শূন্যপদ, এইভাবে আবেদন করুন
ত্রিবেদী বলেন, “কংগ্রেসের ইতিহাসে বারবার দেখা গেছে, তারা জাতীয় নিরাপত্তা এবং গর্বের প্রশ্নে দুর্বল অবস্থান নেয়। পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা নিয়ে তাদের সমালোচনা ভারতের মনোবল ভাঙার কৌশল।” তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারতের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের সমর্থন করি, জাতীয় গর্ব বাড়াই। কংগ্রেস কেন এই জয়ে নীরব?”