শমীকের নতুন কমিটিতে ‘আদি’ নেতাদের মর্যাদা, শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠদের মধ্যে কাঁটাছেঁড়া!

বঙ্গ বিজেপিতে ব্যাটন বদলের পর থেকে জল্পনার অন্ত নেই। দলের নতুন  (BJP) রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলীয় নেতৃত্বে অনেক বড়…

Samik Bhattacharya to Lead Major Reshuffle in West Bengal BJP; Suvendu Adhikari’s Faction at Risk

বঙ্গ বিজেপিতে ব্যাটন বদলের পর থেকে জল্পনার অন্ত নেই। দলের নতুন  (BJP) রাজ্য সভাপতি হিসেবে শমীক ভট্টাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই দলীয় নেতৃত্বে অনেক বড় পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। শমীকের আগমনে কিছু নতুন মুখের উত্থান এবং পুরনো নেতাদের গুরুত্ব বাড়ানোর সিদ্ধান্ত (BJP) রাজ্য বিজেপির ভবিষ্যতকে এক নতুন দিকে নিয়ে যেতে পারে। তবে, এই পরিবর্তনগুলো একদিকে যেমন দলের শৃঙ্খলা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে এটি বেশ কিছু দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং সংঘর্ষেরও সৃষ্টি করেছে।(BJP) 

   

শমীকের নতুন কমিটি এবং পুরনো নেতাদের পুনঃস্থাপন

রাজ্য সভাপতির পদে আসীন হওয়ার পর শমীক ভট্টাচার্য প্রথম থেকেই সাফ(BJP) জানিয়ে দিয়েছেন যে, পুরনো ‘আদি’ নেতাদের আবার সক্রিয় করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে দলীয় কার্যক্রমে পিছিয়ে থাকা নেতারা এবারই প্রথম দলীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পেতে চলেছেন। এরই মধ্যে শমীকের নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে বহু পুরনো নেতা আবার সজীব হয়ে উঠবেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে(BJP) 

শমীকের এই পদক্ষেপে বিরোধিতাও উঠেছে। দলের পুরনো নেতা-কর্মীরা, (BJP) যারা দীর্ঘ সময় ধরে বিজেপির জন্য কাজ করে আসছেন, তাঁরা চাইছেন, দলবদলু বা নতুন নেতাদের কর্তৃত্ব কমানো (BJP) হোক এবং তাদের জায়গায় পুরনো নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক। শমীকের কাছে এ বিষয়ে দাবি পেশও করা হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ এই চাপের মধ্যে, শমীক নিজেও নতুন দলের কাঠামো তৈরি করতে চাইছেন, যেখানে দক্ষ ও সক্রিয় নেতাদের এক নতুন দল গঠন করা হবে। এর মাধ্যমে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে শক্তিশালী এবং সংগঠিত দল গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।(BJP) 

পদ হারানোর আশঙ্কা ও দলবদলু নেতাদের ছোটাছুটি

এই পরিবর্তনগুলি কিছু নেতাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত,(BJP) শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ অনেক নেতা পদ হারানোর শঙ্কায় ভুগছেন। রাজ্য কমিটি, বিভিন্ন সেল ও মোর্চা এবং জেলা সভাপতি পদেও বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। ইতিমধ্যে বহু দলবদলু নেতারা পদ রক্ষার জন্য রাজ্য বিজেপির সল্টলেক অফিসে ছোটাছুটি শুরু করেছেন। কেউ কেউ শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে তাঁর আস্থা অর্জন করার চেষ্টা করছেন।(BJP) 

বঙ্গ বিজেপির ভিতরে চলা এই তৎপরতা দেখে স্পষ্ট যে, শমীক ভট্টাচার্য পুরনো নেতাদের আরও সক্রিয় করতে চান, আর সেই জন্য কিছু নতুন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। এই পরিবর্তনগুলি ২০ জুলাইয়ের পর কার্যকর হতে পারে এবং শমীক নতুন কমিটি ঘোষণা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।(BJP) 

কমিটিতে রদবদল: সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদক পদে পরিবর্তন

বঙ্গ বিজেপিতে শমীকের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সম্পাদক পদে রদবদল। বর্তমানে রাজ্য সংগঠনে ১০ জন সহ-সভাপতি আছেন, তাঁদের (BJP) মধ্যে দু’জনকে সরানো হতে পারে। সাধারণ সম্পাদক পদে পাঁচজন রয়েছেন, এবং সেখানে দু’জনের পদ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া, সম্পাদক পদে বর্তমানে ১১ জন আছেন, তাঁদের মধ্যে তিনজনের বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

Advertisements

তবে শুধু পদবিন্যাস নয়, শমীকের নেতৃত্বে যুব ও মহিলা মোর্চার শীর্ষ পদেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। (BJP) বর্তমানে রাজ্য দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য নিজেই, কিন্তু ভবিষ্যতে একজন তরুণ মুখকে প্রধান মুখপাত্র হিসাবে দেখা যেতে পারে।

জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তন এবং দলীয় কাঠামো

বঙ্গ বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে তিনটি জেলার সভাপতি এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি থাকাকালীনও কিছু জেলার সভাপতির পদে পরিবর্তন হয়েছিল, আর এবার শমীক ভট্টাচার্য আরও দুই থেকে তিনটি জেলার সভাপতি পরিবর্তন করতে পারেন। এটি মূলত নতুন নেতৃত্বের প্রতি দলের অনুগতদের আস্থা ও শৃঙ্খলা তৈরি করতে সাহায্য করবে।(BJP) 

পুরনো নেতাদের ক্ষোভ এবং দলবদলুদের বিরুদ্ধে অবস্থান

পুরনো নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের কারণ, বিশেষ করে দলের নব্য নেতাদের কর্তৃত্ব বাড়ানো হচ্ছে, যারা দলবদল করে বিজেপিতে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির জন্য কাজ করা নেতা-কর্মীরা চাইছেন, দলবদলুদের গুরুত্ব কমিয়ে, তাদের জায়গায় পুরনো নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক।(BJP) 

এদিকে, শমীকের কমিটির লক্ষ্য যে শুধু দলীয় কার্যক্রমের উন্নতি করা নয়, বরং বঙ্গ বিজেপির মধ্যে এক নতুন শক্তির উত্থান ঘটানো, তা স্পষ্ট। শমীকের এই পদক্ষেপের ফলে বিজেপি রাজ্যে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনে আরও দৃঢ় অবস্থান তৈরি করতে পারে।(BJP) 

সবশেষে, বঙ্গ বিজেপির চলমান এই পরিবর্তনগুলো দলের ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ২০ জুলাইয়ের পর কী কী রদবদল ঘটতে চলেছে এবং এর ফলে বঙ্গ বিজেপির ভিতরে কী ধরনের রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি হয়