বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার অধিবেশনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর ১০৪ জন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত পাঠানো নিয়ে বলেছেন, “যুক্তরাষ্টের অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নতুন কিছু নয়। এটি বেশকিছু বছর ধরে নিয়মিত চলে আসছে, যা বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে অনুসরণ করে।” তাঁর এই বক্তব্যটি বিরোধী দলের তীব্র সমালোচনার মধ্যে উস্কে দিয়েছেন, যারা ওয়াশিংটন ডিসির ফেরত পাঠানো ভারতীয়দের নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল।
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্র ১০৪ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে, যারা সেখানে ভিসা ভঙ্গ বা অন্য বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে ট্রাম্প সরকার। এই সিদ্ধান্তের পর ভারতীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি দেশ নিজস্ব আইন অনুসরণ করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং এসব প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করে। এক তথ্য অনুযায়ী এই সংখ্যা ২০১২ সালে ছিল ৫৩০ এবং ২০১৯ সালে ছিল ২,০০০ এরও বেশি।
ড. জয়শঙ্কর আরও জানান, “এই ধরনের প্রক্রিয়া বিভিন্ন দেশের মধ্যে নিয়মিত হয় এবং এর মধ্যে কোনো অস্বাভাবিক কিছু নেই। তবে, ভারত সরকার এই ঘটনার পর তাঁদের নাগরিকদের জন্য যথাযথ সহায়তা প্রদান করবে এবং তাদের আইনি অধিকার সুরক্ষিত করবে। এছাড়া আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছি যাতে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের কোনো ধরনের খারাপ আচরণ না করা হয়।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পরে, বিরোধী দল নানা অভিযোগ তোলেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেন যে, ভারত সরকার কি একটি প্লেন পাঠাতে পারে না – যেটি সেনাবাহিনীর বা বেসামরিক চাটার প্লেন হতে পারে – যাতে ভারতীয় অভিবাসীদের আরও মানবিকভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়
এছাড়া, কলম্বিয়ার উদাহরণও তুলে বিরোধীরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কলম্বিয়ার অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য যে প্লেন ব্যবহার করেছিল তা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিমান, যেগুলিতে ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের হাতে হাতকড়া ছিল। এর ফলে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং এমন কোনো বিমানকে কলম্বিয়ায় অবতরণ করতে দেননি। এরপর কলম্বিয়া তাদের বিমানবাহিনীর প্লেন পাঠিয়ে তাঁদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।