দিন যত যাচ্ছে আরজি কর কাণ্ডে (RG kar case) রহস্যের জাল ততই উন্মুক্ত হচ্ছে (New twist in rg kar case)। ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্ত থেকে মৃতদেহ সৎকার, প্রথম থেকেই পুরো প্রক্রিয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয় হওয়ার অভিযোগে আগেই সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। পথে নেমে একই দাবি জানিয়ে আসছে আন্দোলনকারী পডু়য়ারা। সন্ধে ৬টার পর ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরাও। প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্টও। এবার সেদিনের পুলিশি তৎপরতা নিয়ে মুখ খুললেন শববাহী গাড়ির চালকও। অমিত ঘোষের দাবি, ওইদিন পুলিশি দেহ সৎকারের জন্য শববাহী গাড়ি বুক করেছিল।
শুভেন্দু আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করছে, তোপ জুনিয়ার ডাক্তারদের
ওইদিন আমি দেহ নামিয়ে শ্মশান থেকে বেরিয়ে আসছিলাম, হঠাৎ পেছন থেকে পুলিশ দৌড়ে এসে আমাকে টাকা দিয়ে যায়। অমিত আরও বলেন হাসপাতালে ডাক্তারদের হোস্টেলের পেছন দিয়ে যে রাস্তা রয়েছে সেখান দিয়ে পুলিশ গাড়ি বের করতে বলেছিল। আগে থেকেই চালান তৈরি করে রেখেছিল পুলিশ। শ্মশানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দেহ সৎকার করা হয়।
বাম আমলেও নিয়োগ দুর্নীতি, প্যানেল জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে দেহ সৎকারের টাকা কে মেটাল সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর কথায়, “আমার মেয়ের দেহটা সৎকার করতে দিল না পুলিশ। আমাদের কাছে ওই দিনটা অত্যন্ত মর্মান্তিক ছিল। আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু এত প্রেসার তৈরি করা হয়েছিল। বাড়ির বাইরে চারশশো পুলিশ ব্যারিকেড করে রেখেছিল। বাধ্য হয়েছিলাম সৎকার করতে।”
জুনিয়ার ডাক্তারদের ওপর হামলার চক্রান্ত হচ্ছে, হোয়াটসঅ্যাপ চক্রান্ত ফাঁস কুণালের
এই দিকে ঘটনার একমাসের ওপর পেরিয়ে গেলেও নির্যাতিতার মৃত্যুর তদন্ত এখনও চলছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এখনও রাস্তায় নেমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়ার ডাক্তারেরা। সিপি বিনীত গোয়েলের অপসারন চেয়ে ধর্ণা জারি রেখেছেন তাঁরা। তাঁদের সমর্থনে পথে পা মিলিয়েছে সাধারন মানুষও।