দিল্লিতে গত ২৬ বছর পর পরিবর্তন এসেছে। আম আদমি পার্টির (AAP) প্রধান তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিদায় পর্বের পর ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। এই রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরই, দিল্লির জনপ্রিয় স্বাস্থ্য সেবা প্রকল্প মহল্লা ক্লিনিকের ওপর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মোদী সরকার।
আপ সরকারের মহল্লা ক্লিনিকগুলি শহরের প্রতিটি অঞ্চলে সহজলভ্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছিল। এর মাধ্যমে স্থানীয় জনগণকে স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হত এবং এতে আধুনিক চিকিৎসার সুবিধাও উপলব্ধ ছিল। তবে নতুন সরকারের পক্ষ থেকে এই ক্লিনিকগুলির কার্যক্রমে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সরকার তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, মহল্লা ক্লিনিকের কার্যক্রমের মধ্যে কতটা স্বচ্ছতা রয়েছে, সেই বিষয়ে একটি বিস্তারিত তদন্ত হবে। অভিযোগ রয়েছে যে, কিছু ক্লিনিকে সঠিক চিকিৎসা সরঞ্জাম বা পর্যাপ্ত স্টাফের অভাব রয়েছে, যা জনগণের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই তদন্তের মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করতে চায় যে, এসব ক্লিনিকের কার্যক্রম আরও কার্যকর এবং জনগণের জন্য উপকারী হবে।
এদিকে, মহল্লা ক্লিনিকের পাশাপাশি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি ভারত সরকারের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সেবা পরিকল্পনা, যার লক্ষ্য প্রতিটি ভারতীয় নাগরিককে উন্নত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা। আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায়, দেশের অসংখ্য নিম্নআয়ের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে এবং তা দিয়ে তারা উন্নত চিকিৎসা সুবিধা পাবেন।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হওয়া দিল্লির নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে মহল্লা ক্লিনিকের তদন্তের পর যদি কোনো গুরুতর অনিয়মের প্রমাণ মেলে, তবে সেটি সংশোধন করে এই প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী করার দিকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
দিল্লির নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপগুলি জনগণের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। জনগণ আশা করছে, নতুন সরকার স্বাস্থ্য সেবা ক্ষেত্রে আরো স্বচ্ছতা ও উন্নতি নিশ্চিত করবে এবং তাদের জীবনের মান বৃদ্ধি হবে।