কলকাতা, ২৩ সেপ্টেম্বর: গতকাল মধ্যরাত থেকে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি (Bengal Politics)। সেই বৃষ্টিতে প্রায় সিংহভাগ কলকাতায় জমেছে জল। উত্তর থেকে দক্ষিণ। সল্টলেক থেকে নিউ টাউন সর্বত্রই জলযন্ত্রণার ছবি প্রকাশ পেয়েছে। শুধু তাই নয় শহরের বহু জায়গায় বন্ধ ইলেকট্রিসিটি। সারাদিন ধরে এই দুর্ভোগের ছবি ঘুরছে সাধারণ মানুষের মুঠো ফোন গুলিতে। সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেছেন ডিভিসি পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। যে জলে কলকাতা ভেসে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন কলকাতা অতীত এখন তিনি বিহার উত্তর প্রদেশের বন্যা সামলাতেও ভীষণ ব্যস্ত। মমতা বলেন প্রকৃতি আমাদের হাতে নেই। গতকাল অত্যাধিক বৃষ্টি হয়েছে। যা ভাবনার অতীত। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন ‘জল আগে যা ছিল তা থেকে অনেক কমিয়েছি।’ কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে তিনি প্রশ্ন ছোড়েন ফারাক্কার ড্রেজিং কেন হয়নি।
ফারাক্কার জলে বাংলার কপাল পুড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। কলকাতার পুজো উদ্বোধন বাতিল করলেও জেলার পুজো গুলিকে বঞ্চিত করবেন না বলেই কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই জেলার পুজো উদ্বোধন করার সময় তিনি বলেন প্রকৃতি তার রোষ দেখাবেই, কিন্তু তাতে পুজোর আনন্দ যেন মাটি না হয়ে যায়। পুজোতে সকলকে প্রাণ খুলে আনন্দ করার পরামর্শ দেন তিনি।
ঠিক এই সংবাদ সম্মেলনের অব্যবহিত পরেই তার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সরব হয়েছে বিজেপি এবং কংগ্রেস। কলকাতায় বসে উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের বন্যা সামলানোর ঘটনাকে হাস্যকর বলে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা এবং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন বৃষ্টি হলে জল জমবেই তার জন্য কাউকে দোষারোপ করা নয় কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এখন সমস্ত দায় চাপাচ্ছেন অন্যের উপর।
CESC ও তার আক্রমণ থেকে বাদ পড়েনি। সুকান্ত CESC কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার নাম করে বলেন তিনি তো মুখ্যমন্ত্রীর ভীষণ ঘনিষ্ট। ভোটের সময় টাকাও দেন তাহলে মমতা কেন তাকে দুষছেন।সুকান্তর মতে অন্য কাউকে দোষারোপ করার থেকে নিজেদের নিকাশ ব্যবস্থা পাকা করুক সরকার। অন্যদিকে রাজ্য কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অধীর চৌধুরীও সরকারের নিকাশ ব্যবস্থার নিন্দে করেছেন।
নিজের এলাকার অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে টাকা চান রচনা! ক্ষোভে ফুঁসছেন তৃণমূল সাংসদ
তার সঙ্গে তৃণমূলের আমলে প্রোমোটার রাজকেও তিনি দুষেছেন এবং বলেছেন তৃণমূল জমানায় প্রোমোটার রাজ ঢুকে গিয়ে কলকাতার নকশা বদলে ফেলেছে। তবে রাজনৈতিক বাদানুবাদ চলতেই থাকে যার কোনো অন্ত নেই কিন্তু জমা জল এবং রাস্তায় ছিঁড়ে পরে থাকা তারের জন্য বিপদে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। তারা কবে এই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পান সেটাই দেখার।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
