HMC: হাওড়ার পুরনিগম ভোট অনিশ্চিত, বাড়ছে ক্ষোভ

দীর্ঘ কয়েক বছরের জট কাটিয়ে জিটিএ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নির্বাচন হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের৷ কিন্তু হাওড়া পুরনিগম ভোট নিয়ে জট না কাটায় সরকারের…

দীর্ঘ কয়েক বছরের জট কাটিয়ে জিটিএ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। নির্বাচন হবে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের৷ কিন্তু হাওড়া পুরনিগম ভোট নিয়ে জট না কাটায় সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে আম জনতা৷ যদিও রাজ্যপালের দিকে বারবার বল ঠেলে দিচ্ছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস শিবির।

২০১৩ সালে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল হাওড়া পুরনিগমে। ২০১৫ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। সেখানে বালির ৩৫টি ওয়ার্ড ভেঙে ১৬ ওয়ার্ডে পরিবর্তন করে ভোট হয়৷ সেক্ষত্রে হাওড়া পুরসভার আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬টি। ২০২১ সালে ফের হাওড়া থেকে বালিকে আলাদা করতে চায় সরকার। কলকাতা এবং হাওড়া একসঙ্গে নির্বাচন করাতে চেয়ে কমিশনকে জানায় সরকার৷ কিন্তু তা হয়নি।

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বালিকে হাওড়ার থেকে আলাদা করার বিলে রাজ্যপালের অনুমোদন মেলেনি। যাকে কেন্দ্র করে রাজ্য বনাম রাজ্যপালের সংঘাত চরমে পৌঁছায়। একদিনে রাষ্ট্রপতি কৃষি বিলে সম্মতি দিলে রাজ্যপাল কেন এত সময় লাগাচ্ছেন প্রশ্ন তোলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সময় গড়িয়ে এখন বঞ্চনার শিকার নবান্নের শহরবাসী। সমস্ত পুরসভা নির্বাচন পেরিয়ে গেলেও হাওড়া পুরনিগম নির্বাচন না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সমস্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাঁদেরকে। এমনকি জরুরি ভিত্তিতে কার কাছে যাবেন কীভাবে সুবিধা পাবেন তা নিয়েও দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য বনাম রাজ্যপালের দ্বন্দ্বের জাঁতাকলে তাঁদেরকেই পিষে ফেলা হচ্ছে। অভিযোগ, বহু জায়গায় এখনও নিকাশি ব্যবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। বর্ষা আসলেই জল জমে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়। যে কোনও মুহুর্তে বিপদ ঘটতে পারে। সবটুকু দেখেও চুপ প্রশাসন।

বিরোধী দল বিজেপির বক্তব্য হাওড়া থেকে বালিকে আলাদা করতে চেয়ে সাংবিধানিক সংকট ডেকে এনেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস৷ তাদের জন্যই মানুষকে বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে। বিরাট সংকটের মধ্যে পড়তে হচ্ছে হাওড়ার বাসিন্দাদের।

সিপিআইএমের দাবি, টিএমসি ও বিজেপির কাটমানি ও দলবদলু খেলা চলছে অনবরত। পুরভোটে হাওড়ায় শাসক দলের মূল লড়াই বামেদের সঙ্গে। বিজেপি বিলীন হয়ে গেছে।