গুয়াহাটি ৬ অক্টোবর: অসমের কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈয় এবং তাঁর পরিবারের (Himanta) পাকিস্তানের সাথে অভিযুক্ত সংযোগের বিষয়ে বিশেষ তদন্ত দলের (এসআইটি) রিপোর্ট নিয়ে রাজ্যের রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে। সোমবার রাজ্য ক্যাবিনেটের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে এই রিপোর্ট আলোচনা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের বলেছেন, “এটি একটি অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ধ্বংসাত্মক রিপোর্ট।
আমরা এটি বৃহত্তর জনসমক্ষে শেয়ার করতে চাই। এটি খুব খারাপ রিপোর্ট।” তাঁর এই মন্তব্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে এবং দেশের সামনে গৌরব গগৈয়ের ‘মুখোশ খুলবেন’ বলে দাবি করেছেন হিমন্ত। এই ঘটনা অসমের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ভারতের গুঁড়িয়ে দেওয়া চিনা অস্ত্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পাকিস্তান!
এসআইটি রিপোর্টটি ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ গঠিত হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানি নাগরিক আলি তৌকির শেখ এবং তাঁর সহযোগীদের ভারতবিরোধী কার্যকলাপ তদন্ত করা। হিমন্ত বলেন, “রিপোর্টে অনেক অফিসিয়াল গোপনীয়তা এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সাক্ষ্য রয়েছে। তাই আমরা সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করব না, কিন্তু এর সারাংশ এবং সংযুক্ত নথিপত্রগুলো জনসমক্ষে আনব।”
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, রিপোর্টে গৌরব গগৈয়ের স্ত্রী এলিজাবেথ কলবর্ন গগৈয়ের পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সাথে যোগাযোগের অভিযোগ উঠেছে। এলিজাবেথ একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং তিনি পাকিস্তানে জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পে কাজ করেছিলেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক পাকিস্তান থেকে একজন অসমের সাংসদের সফর সহজতর করেছিল।
এছাড়া, গৌরবের পরিবারের কমপক্ষে তিন সদস্যের ব্রিটিশ পাসপোর্ট রয়েছে, যা একজন সাংসদের জন্য লজ্জাজনক বলে হিমন্তের অভিযোগ। এই রিপোর্টের পটভূমিতে অসমের রাজনীতিতে বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে দীর্ঘদিনের লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। হিমন্ত বারবার গৌরবকে ‘পাকিস্তানপন্থী’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে, গৌরবের সংসদীয় বক্তব্যগুলো পাকিস্তানের স্বার্থে কাজ করে।
তিনি জানিয়েছেন যে, রিপোর্টটি ‘ভারতের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের’ ইঙ্গিত দেয়। বিজেপি নেতারা এই ইস্যুকে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বড় অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা বলছেন যে, এটি হিমন্তের ‘ফ্লপ শো’ এবং অসমের মানুষ এতে বিশ্বাস করবে না।সামাজিক মাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে তীব্র আলোচনা চলছে।