ভুয়ো ভোটার, ভোট কারচুপি এবং ভোটদানে (Election Commission) স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার উঠেছে প্রশ্ন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ এবং সাধারণ ভোটারদের একাংশ থেকে ক্রমাগত অভিযোগ আসতে থাকায় অবশেষে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) । সূত্রের খবর, আগামী নির্বাচন থেকেই রিয়েল টাইমে ভোটদানের হার প্রকাশ করবে কমিশন। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন ঘিরে স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।(Election Commission)
নির্বাচন কমিশনের(Election Commission) তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, এবার থেকে ভোট চলাকালীন প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের হারের আপডেট দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা। কমিশনের নিজস্ব অ্যাপ ECINET-এর মাধ্যমে দেশের প্রতিটি বুথ থেকে এই তথ্য আপলোড করা হবে। প্রিসাইডিং অফিসাররাই সরাসরি এই তথ্য আপলোড করবেন কেন্দ্রীয় সার্ভারে।(Election Commission)
কীভাবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা(Election Commission)
নির্বাচনের দিনে প্রতিটি প্রিসাইডিং অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর ভোটদানের হার জানাতে। সেই তথ্য তিনি সরাসরি ECINET অ্যাপে আপলোড করবেন। (Election Commission) অ্যাপে আপডেট হওয়া এই তথ্য সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে সহজেই পৌঁছে যাবে। এতে করে রিয়েল টাইমে জানা যাবে কোন কেন্দ্র বা বুথে কত শতাংশ ভোট পড়েছে।(Election Commission)
নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই কেন্দ্রীয় সার্ভারে প্রতিটি কেন্দ্রভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ভোটদানের হার প্রকাশ করা হবে। আগে এই তথ্য শুধুমাত্র নির্বাচন শেষে এবং অনেকটা দেরিতে প্রকাশিত হতো। এবার সেই ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনা হচ্ছে(Election Commission)
ভুয়ো ভোট রুখতেই এই পদক্ষেপ(Election Commission)
সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে ভোটগ্রহণ(Election Commission) পর্বে বারবার উঠে এসেছে ভুয়ো ভোটার ও বুথ দখলের অভিযোগ। একাধিক রাজনৈতিক দল(Election Commission) এমনকি বিরোধী নেতারাও অভিযোগ করেছেন যে ভোটের দিন যথাযথ নজরদারি না থাকলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) এই সিদ্ধান্ত স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় একটি ইতিবাচক দিক বলে মনে করা হচ্ছে(Election Commission)
বিশেষজ্ঞদের মতে, রিয়েল টাইমে ভোটদানের হার জানলে যে কোনো অসঙ্গতি সহজেই ধরতে পারবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যেমন, হঠাৎ করে কোনও বুথে অস্বাভাবিক হারে ভোটদানের হার বেড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই নজরদারি বাড়ানো সম্ভব হবে(Election Commission)
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া(Election Commission)
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে(Election Commission) বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই। বিরোধীদের বক্তব্য, এতদিন পর্যন্ত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যা কিছু ঘটত, তা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে অনেকটা সময় লেগে যেত। এবার সময়মতো তথ্য পাওয়ায়, প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের কাছে তৎক্ষণাৎ অভিযোগ জানানো সম্ভব হবে(Election Commission)
তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম-সহ একাধিক(Election Commission) দল ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তারা এই প্রযুক্তিনির্ভর পদক্ষেপকে সমর্থন করে। বিজেপিও জানিয়েছে, এতে করে জনসাধারণের মধ্যে স্বচ্ছ বার্তা যাবে যে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশন যথেষ্ট সচেতন ও দায়িত্ববান।(Election Commission)
কমিশনের এক আধিকারিক জানান, “আমরা চাই নির্বাচন প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ হোক। ভুয়ো অভিযোগ, কারচুপি ও সন্দেহ দূর করতে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার এখন সময়ের দাবি।” তিনি আরও জানান, ECINET অ্যাপের মাধ্যমে শুধু ভোটদানের হার নয়, আগামী দিনে অন্যান্য নির্বাচনী তথ্যও রিয়েল টাইমে জানানো হতে পারে।(Election Commission)
সব মিলিয়ে, নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ আগামী নির্বাচনে একটি বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রযুক্তির সাহায্যে স্বচ্ছ গণতন্ত্র গঠনের এই প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়, তা আগামী নির্বাচনে স্পষ্ট হবে(Election Commission)