Koustav Bagchi: কৌস্তভকে আদৌ সেন্সর করেছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড? বার্তা এল রাজ্যের তরফে

খনও অবধি হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা জাতীয় রাজনীতিতে সকলের জানা৷ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে কংগ্রেসের যুব নেতা কৌস্তভ বাগচি (Koustav Bagchi) এখন খবরের শিরোনামে।

Koustav Bagchi

রাজনীতির শুরুতে কংগ্রেসের তাবড় নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। খুব কম বয়সেই গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হয়ে বিরাট দায়িত্ব পান৷ পরবর্তীকালে রাজনৈতিক দল গঠন করে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেই বাংলার কুর্সিতে বসেছিলেন। রাজ্য স্তরের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এখনও অবধি হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা জাতীয় রাজনীতিতে সকলের জানা৷ সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে কংগ্রেসের যুব নেতা কৌস্তভ বাগচি (Koustav Bagchi) এখন খবরের শিরোনামে।

শুরুটা হয়েছিল সাগরদিঘির উপনির্বাচনের ফলাফল দিনেই। উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয় এবং তৃণমূলের হার নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছিল। এরই মধ্যে একাধিক ইস্যুতে অধীর রঞ্জন চৌধুরী সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি৷ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে কৌস্তভের বক্তব্য৷ রাতে পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে তাঁকে। পরে জামিনেও মুক্তি পান তিনি৷

আইনি জটিলতা থেকে আপাতত রেহাই মিললেও এত সহজে তৃণমূলের জন্য ময়দান ছাড়তে রাজি হননি কৌস্তভ৷ কৌস্তভের এই মন্তব্য শুনে অনেকেই মনে করেছিলেন তৃণমূল ও কংগ্রেসের সম্পর্কে শেষ পেরেকটা পোঁতা হল৷ এরই মধ্যে শোনা যায় কৌস্তভের মন্তব্যের কারণে তাঁকে সেন্সর করা হয়েছে। যা নিয়ে বার্তা দিল রাজ্য কংগ্রেস।

রাজ্য কংগ্রেসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এক বাংলা দৈনিকে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম মিডিয়া প্যানেলিস্ট বিশিষ্ট আইনজীবী শ্রী কৌস্তভ বাগচী সম্পর্কে “কৌস্তভ কে সেন্সর, মমতাকে অপমানে ক্ষুব্ধ দিল্লির কড়া বার্তা” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ কর্মী তথা বাংলার জনগণ কে জানাই, উক্ত বিষয়ে এখনো অবধি কোনো নির্দেশ সর্বভারতীয় কংগ্রেস থেকে আসেনি, অমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই, ওই সংবাদ পত্র এমন খবর কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে, তা বিশদে জানতে চেয়ে চিঠি করা হয়েছে আমাদের মিডিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে, আমরা আশা করছি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই সংবাদ পত্র উত্তর দেবে।যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ফের শোরগোল পড়ে গেছে।