Darjeeling: জিটিএ নির্বাচন ঘিরে গুরুং-বিজেপি কাছাকাছি, পাহাড়ি রাজনীতির মারপ্যাঁচ শুরু

আবার কাছাকাছি। ফের বিমল গুরুংকে গুরুত্ব দিয়ে বিজেপি দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি রাজনীতিতে নিজেদের জমি শক্ত করতে উদ্যোগী হলো। বিজেপির সাংসদরা পরপর দলত্যাগ করছেন। উত্তরবঙ্গেও…

Bimal Gurung

আবার কাছাকাছি। ফের বিমল গুরুংকে গুরুত্ব দিয়ে বিজেপি দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ের পাহাড়ি রাজনীতিতে নিজেদের জমি শক্ত করতে উদ্যোগী হলো। বিজেপির সাংসদরা পরপর দলত্যাগ করছেন। উত্তরবঙ্গেও সেই ধাক্কা লাগছে। আর দার্জিলিংয়ের রাজনৈতিক জমিতে নড়বড়ে বিজেপি। পরিস্থিতি আরও নড়বড়ে হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।এই অবস্থায় ফের বিমল গুরুংকে নিজেদের দিকে টানতে মরিয়া বিজেপি।

শুক্রবার জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই অনশনে বসেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (গোজমুমো) নেতা গুরুং। এবার তাঁর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তিনি বলেছেন, সর্বশক্তি দিয়ে জিটিএ নির্বাচন রুখব। বিমল গুরুংয়ের আন্দোলনের পাশে রয়েছি। আমি নিজে তাঁকে খাদা (উত্তরীয়) পরিয়ে স্বাগত জানাব।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, কয়েক দশক ধরে দার্জিলিং পাহাড়ি এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করানো হয়নি। কার্শিয়াং এবং কালিম্পংয়ে নির্বাচন বাকি। গায়ের জোরে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার জিটিএ নির্বাচন করিয়ে অনুগামীদের মসনদে বসাতে চাইছে।

রাজু বিস্ত ও গুরুং কাছাকাছি আসছেন এই বার্তা ছড়িয়েছে। তবে গুরুং এখন তৃণমূল শিবিরে আছেন। তিনি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির পক্ষ ত্যাগ করে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দার্জিলিংয়ে ফিরে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাগুলি নিষ্ক্রিয় রেখেছেন মু়খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জিটিএ বিরোধিতা করেছে অপর পাহাড়ি দল জিএনএলএফ। আর মোর্চা নেতা গুরুং বলেছেন আগে সমস্যাগুলির সমাধান হোক। তারপর হোক ভোট। নির্বাচন বাতিলের দাবিতে তিনি অনশন শুরু করেছেন। সিংমারির দলীয় অফিসের সামনে গুরুংয়ের অনশন টানা তিন দিন চলছে।

সম্প্রতি দার্জিলিং পুরসভা ভোটে গুরুং শিবির পর্যদস্তু হয়। দার্জিলিংয়ে এখন নতুন শক্তি হামরো পার্টি। মনে করা হচ্ছে, আর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থন আগের তুলনায় কমে গেছে এমনটাই আঁচ করতে পেরেছেন গুরুং। সেই কারণে তিনি জিটিএ ভোটে অংশ নিতে চাইছেন না।

গুরুংয়ের দাবি, তরাই এলাকার ৩৯৬ টি মৌজা জিটিএর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কিন্তু সেই দাবি মানা হয়নি। সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমি চাই দ্রুত এ বিষয়ে সরকার হস্তক্ষেপ করুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বলেছিলেন পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবেন। সেকথা কেন্দ্র সরকার আমাদেরকে আগে বলেছিল। কিন্তু কেন্দ্র সরকারের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। এখন এই সরকারও কর্ণপাত করতে চায় না। তাই আমি আমরণ অনশন কর্মসূচি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গুরুং আশাবাদী, ২০২৪ এবং ২০২৬ এর জন্য সুসম্পর্কের কথা ভেবে শরিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।