জিটিএ ভোট বাতিলের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (গোজমুমো) নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সিংমারিতে তিনি অনশন করছেন তিন দিন ধরে। এদিকে বিমল গুরুংয়ের অনশন (hunger strike) কর্মসূচিকে রাজ্য সরকার পাত্তা দিচ্ছে না। অনশনের ৭২ ঘণ্টা পার হলেও রাজ্যের তরফে আসেনি কোনও বার্তা। ফলে বিপাকে পড়েছেন গুরুং।
গোজমুমো গুরুং শিবির উদ্বিগ্ন। দূর্বল হয়ে পড়ছেন নেতা বিমল গুরুং। তিনি অনশন চালিয়ে গেলেও দার্জিলিং ও কালিম্পং প্রায় নিরুত্তাপ। সূত্রের খবর, গুরুং শিবির হতাশ। সমর্থন যে তলানিতে ঠেকছে আরও তার প্রমাণ রাজ্যের তরফে গুরুংয়ের অনশন কর্মসূচিকে উপেক্ষা।
পরিস্থিতি অনুকুল নয় বুঝে গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বার্তা, অনশন তুলে নিন গুরুং। কিন্তু রাজ্যের তরফে কোনও বার্তা না মেলা অবধি অনশন মঞ্চ ছাড়তে নারাজ গুরুং।
গোজমুমো কার্যকারী সভাপতি লোপসাং লামা জানিয়েছেন, দলীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিমল গুরুংকে অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে , কিন্তু তিনি রাজি হচ্ছেন না। গুরুং বলছেন রাজ্য থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত বার্তা আসছে ততক্ষণ তিনি অনশনে বসে থাকবেন। আমরা চেষ্টা করছি।
গুরুংয়ের অনশন কর্মসূচির মূল দাবি জিটিএ নির্বাচন বাতিল করতে হবে। এই দাবিতে গত তিন দিন ধরে অনশনে আছেন তিনি। তবে গুরুংয়ের দাবি সমর্থন করেছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত। তবে বিজেপির তরফে কোনও প্রতিনিধি যায়নি গুরুংয়ের কাছে।
বিমল গুরুং ও বিজেপির মধ্যে সখ্যতা ভেঙে যায় বিধানসভা ভোটের আগে। হিংসাত্মক আন্দোলন, মু়খ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে পলাতক ছিলেন গুরুং। অভিযোগ তাঁকে বিজেপি সুরক্ষা দিয়েছিল। তবে ভোটের পলাতক গুরুং ও রাজ্য সরকারের মধ্যে ফের আঁতাত হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে ফের দার্জিলিংয়ে ঢুকতে পারেন গুরুং। তবে ভোটে সফল হয়নি গুরুং শিবির।
সাম্প্রতিক পুরভোটে দার্জিলিং পুরসভায় গুরুংপন্থী গোজমুমো শিবিরের করুণ হাল হয়েছে। দার্জিলিংয়ে এখন হামরো পার্টির ক্ষমতা। মনে করা হচ্ছে, পাহাড়ে গুরুংয়ের সমর্থন যে কমেছে সেটা ভালোমত আন্দাজ করে জিটিএ ভোটে যেতে চাইছেন না গুরুং। রাজ্যপাট হারানো রাজার মতো অবস্থা গুরুংয়ের।
তবে শুক্রবার অনশনরত গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানবিমলপন্থীরা। শুরু হয় গো গ্যাক স্লোগান। অজয় এডওয়ার্ড জানান , শারীরিক দুর্বলতা থাকার দরুন বিমল গুরুং এর খোঁজ খবর নিতে গিয়েছিলেন তিনি ।