ভারতের বাজার থেকে উধাও ২০০০ টাকার নোট

গোটা দেশে ২,০০০ টাকার নোটের প্রচলন দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আরবিআই ২০২১-২২ সালের বার্ষিক…

গোটা দেশে ২,০০০ টাকার নোটের প্রচলন দ্রুত হ্রাস পেয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। আরবিআই ২০২১-২২ সালের বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যেখানে আরবিআই জানিয়েছে যে ২০২০-২১ সালে মোট মুদ্রা প্রচলনে ২,০০০ টাকার নোটের অংশ ছিল ১৭.৩ শতাংশ, যা এখন ১৩.৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

আরবিআই-এর এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯-২০ সালে ৫,৪৭,৯৫২ টাকা মূল্যের ২৭৩.৯৮ কোটি ২,০০০ টাকার নোটের সংখ্যা ছিল প্রচলনে, যা মোট নোটের ২২.৬ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪,৯০,১৯৫ কোটি টাকায়, যা ছিল ২৪৫.১০ কোটি টাকা। কিন্তু ২০২১-২২ সালে মোট কারেন্সি সার্কুলেশনের ফলে ২,০ টাকার নোটের সংখ্যা আরও কমে ২,০ কোটি টাকা হয়েছে ২১৪.২০ কোটি টাকা, যার মূল্য ৪,২৮,৩৯৪ কোটি টাকা। এখন, মোট নোটের প্রচলনে ২,০ টাকার নোটের সংখ্যা ২০২০-২১ সালে ২ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ সালে ২.৪ শতাংশ থেকে কমে ২০২১-২২ সালে ১.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।

২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত, ৩৩৬.৩ কোটি ২,০০০ টাকার নোট প্রচলনে ছিল, যা মোট নোট প্রচলনের ৩.২৭ শতাংশ এবং মূল্যের দিক থেকে ৩৭.২৬ শতাংশ ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের ৩১ মার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২১৪ কোটি ২০ লক্ষ ২ হাজার টাকার নোট চালু রয়েছে। যা মোট নোটের ১.৬ শতাংশ এবং মূল্যের দিক থেকে ১৩.৮ শতাংশ।

বস্তুত, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শীতকালীন অধিবেশনে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সংসদে বলেছিলেন যে ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২,০০০ টাকার নোট মুদ্রণের জন্য কোনও নতুন অর্ডার দেওয়া হয়নি। ২০০০ টাকার নোটের প্রচলন কমার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সালের পর থেকে নতুন করে আর নোট ছাপার অর্ডার দেওয়া হয়নি, তাই ২ হাজারের নোটের সংখ্যা কমেছে। সেই সঙ্গে নোটের অধঃপতনের কারণে অনেক নোটই অচল হয়ে পড়েছে, যার জেরে তাদের সংখ্যা কমেছে।