নয়াদিল্লি ৪ অক্টোবর: ২৬/১১ র মুম্বই হামলা, যা নাড়িয়ে দিয়েছিল ভারতবাসীকে (India Politics)। সেই সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী ১০ জঙ্গিকে খতম করলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতের। সম্প্রতি সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম মুম্বই হামলা এবং তারপরে কেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হলনা তা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেছেন মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হলেও সোনিয়া গান্ধীর আঙ্গুলি হেলনেই চলত সরকার। তিনি আরও বলেছেন সেই সময় আন্তর্জাতিক চাপে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই মন্তব্যের জেরে বিজেপি তীব্র কটাক্ষ করে বলেছে, এটি সংবিধানের লঙ্ঘন এবং কংগ্রেসের দুর্বলতার প্রমাণ। সাম্প্রতিক এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে চিদাম্বরম বলেন, “হামলার পর প্রত্যাঘাতের কথা আমার মনে উঁকি দিয়েছিল।
Bihar Assembly Election: আসন ভাগাভাগি নিয়ে মহাজোটকে চাপ বামেদের, দাবী ৩৫ টি আসন!
আমি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু বাইরের চাপ এবং বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হবেনা।” তিনি উল্লেখ করেন, তৎকালীন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী কন্ডোলিজা রাইস দিল্লিতে এসে বলেছিলেন, “যুদ্ধ শুরু করবেন না।”
চিদাম্বরম আরও বলেন, ২৬ নভেম্বর ২০০৮-এর হামলা চলাকালীনই প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছিলেন, কিন্তু আইএফএস (ইন্ডিয়ান ফরেন সার্ভিস) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রভাবে সামরিক পদক্ষেপ এড়ানো হয়। তিনি স্বীকার করেন, হামলার পরপরই তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করা হয়, কিন্তু তখন তিনি অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড়তে চাননি।
“সোনিয়া গান্ধী ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন,”। বিজেপির জাতীয় সক্রেটারি এবং মিডিয়া ইনচার্জ গৌরব ভাটিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “পি. চিদাম্বরমের এই স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে, আন্তর্জাতিক চাপে মনমোহন সরকার—সোনিয়া গান্ধীর প্রভাবে—২৬/১১-এর পর কোনো কড়া প্রত্যাঘাত নেয়নি। এটি সংবিধানের লঙ্ঘন এবং দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস।
কংগ্রেসের এই দুর্বলতার জন্য ভারতকে দীর্ঘকাল ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে।” ভাটিয়া আরও বলেন, “মনমোহন সিং নামমাত্র প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আসল ক্ষমতা সোনিয়া গান্ধীর হাতে। চিদাম্বরমকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন যে এখন স্বীকারোক্তি করে কোনো লাভ নেই ১৭ বছর অনেকটা সময় বড্ড দেরি হয়ে গেছে।