চুড়ান্ত অসহযোগীতার অভিযোগ এনে বৈঠক বয়কট করলেন শুভেন্দু

আজই লোকায়ুক্ত এবং রাজ্য মানধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে নবান্নে আলোচনা রয়েছে। সোমবার সেই বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই…

আজই লোকায়ুক্ত এবং রাজ্য মানধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে নবান্নে আলোচনা রয়েছে। সোমবার সেই বৈঠকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে যোগ দেবেন না শুভেন্দু। সোমবার ট্যুইট করে তা জানালেন বিরোধী দলনেতা।

সোমবার রাজ্য আমনধিকার কমিশনের প্রধান, লোকায়ুক্ত কমিশনের প্রধান এবং রাজ্য তথ্য কমিশনের প্রধান পদ নিয়ে আলোচনা ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠক এড়িয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার এই বৈঠক সফলভাবে পরিচালনা করার জন্য সহযোগীতা করছে না। রাজ্যপালের দেওয়া কোনও নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না। একইসঙ্গে রাজ্যপালের নির্দেশিকা অনুযায়ি বেশ কিছু তথ্য সদস্যদের কাছে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু সেটা করা হয়নি। রাজ্য সরকারের চুড়ান্ত অসহযোগীতার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও এই জল্পনা আগে থেকেই ছিল। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠককে ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে না-ও যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কারণ, চলতি সপ্তাহে স্বরাষ্ট্র সচিব বিপি গোপালিকার কাছ থেকে তিনটি চিঠি পেয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে স্পষ্ট করে লেখা ছিল রাজ্যপালের সুপারিশে বিরোধী দলনেতাকে ওই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
তাঁর বক্তব্য ছিল, বলা হয়েছে, রাজ্যপালের সুপারিশে আমাকে ডাকা হয়েছে। রাজ্যপালকে এ ভাবে কোট করা যায় না। আর বৈঠক সংক্রান্ত তথ্য ও নথি আমি চেয়েছি। সেই নথি না পেলে আমি কোনও ভাবেই বৈঠকে যোগ দেব না। এবার সেই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেন বিরোধী দলনেতা।
যদিও এর আগে একবার মুখোমুখি বৈঠকে বসার কথা ছিল মমতা ও শুভেন্দুর। কিত্নু সেবারেও বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলন তিনি। এবারেও এড়িয়ে যান বৈঠক।

লোকায়ুক্ত,রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ও রাজ্য তথ্য কমিশনার নিয়ে নবান্নে হতে চলা বৈঠকে যোগ দেবেন না শুভেন্দু