প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে জেরা করার পর শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটের সময়ে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুকে। তাকে গ্রেফতার করার পরই বনমন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, “শুভেন্দু করেছে, বিজেপি করেছে।” জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হলাম, এটুকু বলে গেলাম”।
এবার জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারিতে পাল্টা কটাক্ষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, “এবার হয়তো মন্ত্রীসভার বৈঠক ও বিধানসভার অধিবেশন জেলের মধ্যে ডাকতে হবে।”
স্বাভাবিকভাবে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর রাজ্যের আর এক হেভিওয়েট মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর বিজেপির একাংশ নেতা আনন্দিত। এ ব্যাপারে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বারবার তারা আর্জি জানিয়েছেন বলে খবর। এমনকি সেরকম কিছু না হওয়ায় তাদের হতাশাও বেশ কয়েকবার প্রকাশ হয়ে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে পুজোর মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে শুভেন্দুর পৃথক সাক্ষাৎ ছিল তৎপর্যপূর্ণ।
সেদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। মূলত শুভেন্দুর আমন্ত্রণেই তিনি এসেছিলেন বলে খবর। শুভেন্দুদের এদিন যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে সে ব্যাপারে তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা বলেন, “বাংলায় বিজেপির সংগঠন নেই। তাই ওরা এলোমেলো করে দিয়ে রাজনৈতিক জমি দখলের চেষ্টা করছে।”
একই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “ওরা কি ভেবেছে! সব বিরোধীদের জেলে ঢুকিয়ে ক্ষমতা দখল করবে।” এ ব্যাপারে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের ছেলে বৈভব গেহলটকে ইডির নোটিসের প্রসঙ্গও তুলেছিলেন মমতা। সেই সঙ্গে বলেন, “ওরা বুঝে গেছে ভোটে জিততে পারবে না। তাই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে অফিসারদের নামিয়ে দিয়েছে।”