বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (BGBS) নিয়ে সুর চড়াচ্ছে বিরোধীরা। এতদিন রাজ্যে কী শিল্প হয়েছে কত বিনিয়োগ হয়েছে তা নিয়ে এবার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি উঠল। যদিও নবান্ন সূত্রে আগেই সামনে এসেছে বিগত ছয় বছরে রাজ্যে বিনিয়োগের খতিয়ান। নবান্নের আশা এ বছরে আরো বাড়বে বিনিয়োগ।
বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, বিগত ৬ বছর ধরে যে সম্মেলনগুলো হল সেখানে পশ্চিমবঙ্গের লোক কি পেল ? কত বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে সেটাও মানুষের জানা দরকার আছে। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি করেন। তিনি বলেন প্রত্যেকবার প্রেস কনফারেন্সের পর একটা করে ভাষণ দেন কিন্তু কোনো কাজের কাজ হয়নি।
জমি আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় আসা তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে বড় কোন শিল্প হয়নি বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।তবে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে ২০১৫ সালে ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ২০১৬ সালে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আশ্বাস ছিল ২ লক্ষ ৫০ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের।২০১৭ সালে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস ছিল। ২০১৮ সালের চতুর্থ বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ২ লক্ষ ১৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকার। ২০১৯ সালে পঞ্চম সম্মেলনে কিছুটা কমে হয় ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। ২০২২ সালে ষষ্ঠ সম্মেলনে বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ৩ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
সরকারি সূত্রে দাবি এগুলো ছাড়াও গত এক দশকে বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। সেইসব প্রস্তাব কার্যকর হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এবার কোন কোন ক্ষেত্রে বিনিয়োগে রাজ্য জোর দিচ্ছে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় স্পট করে দিয়েছে। ছোট-মাঝারি শিল্প, কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, পরিকাঠামো উন্নযন, স্বাস্থ্য, পর্যটন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জোর দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা কী সুবিধা পাবেন তাও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শুরু হয়েছিল বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট। করোনার কারণে ২ বছর বন্ধ থাকলেও এবার রাজ্য পুরোদমে বিনিয়োগ টানতে চেষ্টা চালাচ্ছে।