মহেশতলায় পুলিশি হস্তক্ষেপের ঘটনায় তোলপাড়, গ্রেপ্তার ৪০, রাজ্যপালের দ্বারস্থ শুভেন্দু

মহেশতলায় চলমান অশান্তি পরিস্থিতি এখনও থামছে না।(Mahestala Case)  ফলের দোকান বসানো নিয়ে প্রথমে শুরু হওয়া এক বিরোধের পর, তা মারাত্মক আকার ধারণ করে, পুলিশের ওপর…

40 Arrested in Mahestala Incident as Tensions Escalate"

মহেশতলায় চলমান অশান্তি পরিস্থিতি এখনও থামছে না।(Mahestala Case)  ফলের দোকান বসানো নিয়ে প্রথমে শুরু হওয়া এক বিরোধের পর, তা মারাত্মক আকার ধারণ করে, পুলিশের ওপর হামলা এবং ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে একাধিক পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়, (Mahestala Case)  পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয় এবং কয়েকটি জায়গায় পাথরবৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব়্যাফ নামানো হয়, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয় এবং মৃদু লাঠিচার্জও চালানো হয়। এই ঘটনায় মোট ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।(Mahestala Case)  

   

ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে, সন্তোষপুর এলাকায় ফলের দোকান বসানোর জন্য দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় বচসা। প্রথমে কেবল বাকবিতণ্ডা হলেও, দ্রুত তা মারামারি এবং(Mahestala Case)  হাতাহাতির রূপ নেয়। উত্তেজনা বাড়তে থাকে এবং দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু হয়। পরবর্তীতে, এলাকাতে ব্যাপক ভাঙচুর এবং অশান্তি শুরু হয়। একাধিক বাড়ির ছাদ থেকে ঢিল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে, যা পুরো এলাকা সহ আশেপাশের অঞ্চলে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।(Mahestala Case)  

পুলিশের উপস্থিতিতে উন্মত্ত জনতা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় এবং কিছু পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ কাঁদানে (Mahestala Case)  গ্যাস ছুঁড়ে এবং র‍্যাফ নামানো হয়। এর মধ্যে একটি বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। মহেশতলা থানা এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়।(Mahestala Case)  

এখন পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, (Mahestala Case)  এবং নাদিয়াল থানায় চারটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার পুলিশের রবীন্দ্রনগর থানায় তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ২৮ জন। সব মিলিয়ে মোট ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মহেশতলার পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা এখনও বেশ চর্চিত এবং উত্তপ্ত।(Mahestala Case)  

এদিকে, ঘটনার পর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও তীব্র হয়ে উঠেছে। বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মহেশতলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।(Mahestala Case)  শুভেন্দু অধিকারী মহেশতলা ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন(Mahestala Case)  করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পুলিশের কাছে ই-মেল পাঠিয়ে শুভেন্দু জানিয়েছেন যে, তিনি একজন বিধায়ক হিসেবে মহেশতলায় যেতে চান এবং গোটা পরিস্থিতি রাজ্যপালের কাছে তুলে ধরতে পারেন।(Mahestala Case)  

Advertisements

সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও মহেশতলা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। রাজনৈতিক মহলে চলছে কানাঘুষা যে, এই পরিস্থিতিকে(Mahestala Case)  কেন্দ্র করে বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। ঘটনার সূত্রপাত থেকেই বিজেপি এই অশান্তিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে।

শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, “এটি শুধুমাত্র স্থানীয় অশান্তি নয়, এটি একটি বড় ধরনের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সংকট। আমরা চাই, পুরো ঘটনা তদন্ত করা হোক এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা রাজ্যপালের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে প্রস্তুত।”(Mahestala Case)  

এদিকে, মহেশতলায় পরিস্থিতি এখনো থমথমে। পুলিশ তৎপরতা বাড়িয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে(Mahestala Case)  যদি অশান্তি আরও বাড়ে, তবে এটি রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে, যা রাজ্য সরকার এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি করবে।(Mahestala Case)  

মহেশতলায় পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো (Mahestala Case)  হবে, তা এখন পুলিশের এবং রাজ্য সরকারের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন, আর পরিস্থিতি যদি আরও জটিল হয়, তবে তা রাজ্যের রাজনীতি ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।