কংগ্রেস সংসদ সোনিয়া গান্ধী সোমবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন মোদি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে জনগণনায় দেরি করছে, যার ফলে দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষ রেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সোনিয়া গান্ধী খাদ্য সুরক্ষা আইনকে মৌলিক অধিকার হিসেবে তুলে ধরে দ্রুত জনগণনার দাবি জানিয়েছেন।
২০১১ সালে শেষ জনগণনা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর, ২০২১ সালে নতুন জনগণনা হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত মোদি সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে, ২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে রেশন দেওয়া হচ্ছে, যা দেশের বর্তমান জনসংখ্যার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। গত ১৫ বছরে দেশের জনসংখ্যা ১২১ কোটি থেকে বেড়ে ১৪০ কোটি হয়ে গেছে, অথচ সেই সংখ্যার ভিত্তিতে রেশন প্রদান করা হচ্ছে। এতে প্রায় ১৪ কোটি মানুষ খাদ্য সুরক্ষা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সোনিয়া গান্ধী রাজ্যসভায় বলেছেন, “সরকারের উচিত ছিল জনগণনাকে দ্রুত সম্পন্ন করা, কারণ খাদ্য সুরক্ষা বিশেষাধিকার নয়, এটি জনগণের মৌলিক অধিকার।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “ইউপিএ সরকারের সময়ে খাদ্য সুরক্ষা আইনটি চালু হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতের প্রতিটি নাগরিক যাতে অভুক্ত না থাকে। করোনাকালে এই আইনের কার্যকারিতা ছিল উল্লেখযোগ্য, বিশেষ করে ‘গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’-র সাফল্য ছিল এই আইনের ফলস্বরূপ।”
কংগ্রেস সংসদ আরও বলেছেন, “এই আইনের আওতায়, গ্রামের ৭৫ শতাংশ এবং শহরের ৫০ শতাংশ গরিব মানুষের খাদ্য সুরক্ষা প্রাপ্য হওয়ার কথা, কিন্তু জনগণনা না হওয়ার কারণে তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।” তিনি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, জনগণনার অভাবে দেশের গরিব জনগণ তাদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সোনিয়া গান্ধী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা যত দ্রুত সম্ভব জনগণনা সম্পন্ন করে, যাতে দেশের ১৪০ কোটি মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়। “এটি দেশের মৌলিক অধিকার, যা প্রতিটি নাগরিকের প্রাপ্য,” তিনি মন্তব্য করেছেন।
অন্যদিক জনগণনা না হওয়া নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে, এবং বিশেষ করে গরিব জনগণের মধ্যে খাদ্য সুরক্ষা আইন থেকে বঞ্চিত হওয়ার ফলে এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপ তীব্র হয়ে উঠেছে।