আছে তা আপনাদের বাড়িতে? আজ সেই বোকাবাক্সেরই দিবস অর্থাৎ আজ ২১শে নভেম্বর ‘বিশ্ব টেলিভিশন দিবস'(World Television Day)। আজকালকার দিনে টেলিভিশন ছাড়া সাধারণ মানুষের দিন কাটানো একেবারে অসম্পূর্ণ বলেই বলা যেতে পারে বিশেষত প্রবীনদের জন্য প্রাথমিক বিনোদনের উপায় বলতে টেলিভিশনকেই বোঝে। নবীন প্রজন্মের মানুষদের টিভির প্রতি প্রবল আসক্তি না থাকলেও প্রবীনদের জন্য সময় কাটানোর একমাত্র উপায় এই টেলিভিশন।
ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখলে জানতে পারা যাবে, ফিলো টেলর ফার্নসওয়ার্থ, একজন আমেরিকান উদ্ভাবক, 1927 সালে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিভিশন উদ্ভাবন করেন। প্রথম যান্ত্রিক টেলিভিশন স্টেশন, W3XK, যা চার্লস ফ্রান্সিস জেনকিন্স তৈরি করেছিলেন, এক বছর পরে তার প্রথম অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। 1996 সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ 21 নভেম্বর বিশ্ব টেলিভিশন দিবস ঘোষণা করে। টেলিভিশন হল যোগাযোগ এবং বিশ্বায়নের প্রতীক যা আমাদের সিদ্ধান্ত ও মতামতকে শিক্ষিত করে, তথ্য দেয়, বিনোদন দেয় এবং প্রভাবিত করে।
টেলিভিশন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ, সংবাদ থেকে বিনোদন পর্যন্ত প্রতিটি তথ্য এই সাধারণ মিডিয়া থেকে আসে। সময়ের সাথে তালে তাল মিলিয়ে বিনোদনের নানা উপায় বাজারে এলেও টেলিভিশন তার দর বজায় রেখেছে। প্রাথমিকভাবে টেলিভিশনে বিনোদনের জন্য হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি চ্যানেল ছিল। কিন্তু ক্রমবর্ধমানে, চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ায় এবং তার সাথে সাথে শুরু হয় নানা ধারাবাহিক, টেলিফিল্ম এবং রিয়েলিটি শো। টেলিভিশন এমন এক যন্ত্র যার প্রতি ৮ থেকে ৮০ সকলেই আকর্ষিত হয় এবং পরবর্তীকালে মানুষ নিজের অজান্তেই টিভির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে।