বছরের সবচেয়ে বেশি বিয়ে হয় শীতে। শীতকাল আসলেই বিয়ের হিড়িক (Winter Wedding) পরে যায়। জনপ্রিয় তারকাদের বিবাহ বার্ষিকীও এই সময়তে। কি-ক্যাটরিনা থেকে শুরু করে আলিয়া ভাট, অনুষ্কা শর্মা সবাই গাঁটছড়া বেঁধেছেন শীতে। সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি চাকরি সকলেই বিয়ে করার জন্য শীতকালকে বেছে নেন। কিন্তু কেন বিয়ে করার জন্য শীতকালকে বেছে নেন সবাই?
শীতকালে কেন এত মানুষ বিয়ে করেন এর পেছনে রয়েছে বেশ কিছু সুবিধা। শীতকালে চার দেয়ালের মধ্যেই বেশিরভাগ সময়টা কাটাতে হয় সকলকে। শীত মানে একটি ছুটি ছুটি ভাব কাছের মানুষকে সময় দিতে চায় সবাই। বিয়ে করার জন্য শীতের মরশুমকে বেছে নেন অনেকে। শীতে মেকাপ থেকে খাওয়া-দাওয়া ডেকোরেশন সব কিছুই করা যায় স্বস্তিতে।
বিয়েতে কোন একটি সুন্দর দেখানোর জন্য করা হয় মেকআপ। যত দামি মেকআপই হোক না কেন গরমে ঘেমে মেকআপ নষ্ট হয়ে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু শীতকালে সেই ভয় নেই দিব্যি ইচ্ছামতো সেজে বসে থাকা যায়। তাই সব মেয়েই বিয়ে করার জন্য পছন্দ করেন শীতকাল।
এছাড়াও, গরম কালে খাওয়া দাওয়া কিঞ্চিত ঝুঁকিপূর্ণ, রয়ে সয়ে খেতে হয়। একটু এদিক-ওদিক হলেই নানা ভাষায় বিদ্রোহ করে পেট। বিয়ে মানে বিশেষ খানাপিনা তাই বিয়ের জন্য শীতকালই উপযুক্ত।
বিয়ে মানেই অনেক কাজ গরম একটু পরিশ্রমেই হাঁফিয়ে উঠতে হয়। বরং শীতকালে উচ্চস্বরে গান চালিয়ে দিয়ে ছোটাছুটি করে নাচ করলে শীত কম লাগে। শীতকালে বিয়ে হলে ডেকোরেশন বেশ খুব সুন্দর করে করা যায়। আউটডোরেও প্যান্ডেল করা যায়। শীতকাল হল ফুলের মরশুম। ফুল বিয়েতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। গায়ে হলুদে ডালিয়া চন্দ্রমল্লিকা জারবেরা লিস্টের একেবারে প্রথম দিকে যায়। যদিও সব ফুলের মধ্যে গোলাপের সব সময় চাহিদা বেশি থাকে।
এই সময় স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় একটা বার্ষিক ছুটি চলে। তাই আত্মীয়-স্বজন যে যেখানে আছেন মিলিত হতে পারেন অনুষ্ঠানে। বিয়ের মতো একটি বড় আয়োজনেও সময় পাওয়া যায়। শীতকালে দিন ছোট, ফ্যান বা এসির ঝামেলা নেই। বিদ্যুৎ কম খরচ হয় অল্প সময়ে স্বল্প আয়োজনে বিয়ের অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করে ফেলে যায়। বিয়েতে যে খাবার থেকে যায় তাও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। বিয়ের পরেই আসে হানিমুন। হানিমুনে ঘোরাঘুরির জন্য শীতকালই সেরা।